Published : Tuesday, 21 June, 2022 at 9:21 PM, Count : 171

ছিল না উচ্ছ্বাস, আনন্দ, স্বতঃস্ফূর্ততা। সুর তাল লয়ের বড় অভাব যেন! মিল অমিলের দোলাচলে আয়োজন হয়ে পড়ে অসম্পূর্ণ। সীমিত পরিসরে অল্প ক’জন মানুষ। তবুও নেমে পড়েন দিবসটিকে মনে করিয়ে দিতে। যথাসময়ে উপস্থিত হন অনুষ্ঠানস্থলে। ব্যানার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে যান।
প্রায় অর্ধশত সাংস্কৃতিক সংগঠনের যশোরে মঙ্গলবার অধিকাংশ সংগঠনের মধ্যে ছিল না বিশ্ব সংগীত দিবস উদ্যাপনের তাড়া। যে সংগীত মনের খোরাক যোগায় তা উদ্যাপনে ছিল না আন্তরিকতার ছাপ। কৃষ্টি সংস্কৃতির যশোরে বরাবরই মানুষের মধ্যে বিভিন্ন দিবস উদ্যাপন নিয়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও আগ্রহ দেখা যায়। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সেই উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়িয়ে দিতে অগ্রগামী হয়। বিশ্ব সংগীত দিবসের র্যালিতে শুধুমাত্র শিল্পকলা একাডেমি, কিংশুক সংগীত শিক্ষা কেন্দ্র, ইনস্টিটিউট নাট্যকলা সংসদ, শেকড়, আশাবরী ও স্বচ্ছ আর্ট স্কুল যোগ দিলেও অধিকাংশ সংগঠনের দেখা মেলেনি। সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত যশোরে মঙ্গলবার বিশ্ব সংগীত দিবস নিয়ে কোনো তাপ উত্তাপ ছিল না। আনন্দ উচ্ছ্বাসের সাথে উদ্যাপন করার কথা থাকলেও স্বল্প পরিসরে ও ঢিলেঢালাভাবে যশোরে উদ্যাপন করা হয় বিশ্ব সংগীত দিবস। আসন্ন শিল্পকলা একাডেমি নির্বাচন উপলক্ষে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে ব্যস্ত ছিলেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রার্থীরা। এ কারণে উপস্থিতি ছিল হতাশাজনক।
সাংস্কৃতিক কর্মী কাজী ইশরাত শাহেদ টিপ বলেন, আমার খুব ভালো লাগছে সংগীত দিবসের র্যালিতে অংশ নিতে পেরে। তবে, যতটা স্বতঃস্ফূর্ত হওয়ার কথা ছিল ততটা হয়নি। অল্প সংখ্যক মানুষকে সাথে নিয়েই আমরা দিবসটি উদ্যাপন করলাম। যশোর ইনস্টিটিউটের যুগ্ম সম্পাদক রওশন আরা রাসু বলেন, সংগীত দিবসে সংগীত পিপাসুদের জন্য শুভেচ্ছা। সংগীত দিবসের র্যালিতে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষকে সাথে নিয়ে আমরা আজকের দিবসটি উদ্যাপন করতে পারতাম। তবে তা হয়নি। ভবিষ্যতে যেন আমরা অনেক বড় পরিসরে দিবসটি উদ্যাপন করতে পারি। সবার প্রতি এ আহবান থাকলো। এ বিষয়ে শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার হায়দার আলী বলেন, আমরা প্রতিটি সাংস্কৃতিক সংগঠনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। পাঁচটা বিশ মিনিটে র্যালি শুরু হবে এটা সবাই জানেন। সবার উপস্থিতি আশা করেছিলাম, যদিও তা হয়নি। আগামীতে যেন সবাই মিলে অনুষ্ঠান করতে পারি সবার প্রতি এ আহ্বান রইলো। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোরের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু বলেন, শিল্পকলা একাডেমির দায়িত্ব সবাইকে একত্রিত করা। আমি মনে করি কালচারাল অফিসার ব্যর্থ হয়েছেন সবাইকে একত্রিত করতে। তাছাড়া, প্রার্থীরা নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকায় সংগীত দিবসের র্যালিতে উপস্থিতি কম ছিল বলে মনে হয়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোরের সভাপতি সুকুমার দাস বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি আমার সংগঠন পুনশ্চতে শিল্পকলা একাডেমি থেকে কোন চিঠি আসেনি। চিঠি পেলে আমরা অনুষ্ঠানে কেন যাবো না।