Published : Wednesday, 22 June, 2022 at 8:59 PM, Count : 138

যশোরে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার স্পেশাল জজ মোহাম্মদ সামছুল হক এ আদেশ দেন। আসামি মোফাজ্জেল হোসেন মন্টু শার্শা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে। তার নিহত স্ত্রী সাফিয়া খাতুন একই গ্রামের হযরত আলীর মেয়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্পেশাল পিপি সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০০ সালে আসামি মোফাজ্জেল হোসেন মন্টু ফুঁসলিয়ে সাফিয়া খাতুনকে বিয়ে করেন। যা সাফিয়ার পরিবারের লোকজন জানতেন না। প্রথমে মেনে না নিলেও এক পর্যায়ে সাফিয়ার পরিবার বিয়ে মেনে নেয়। এদিকে, বিয়ের কয়েকদিনের মাথায় সাফিয়ার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন মন্টু। সাফিয়া তার পরিবারকে বিষয়টি জানান। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ হলেও মন্টু একই কাজ করতে থাকেন। এরমধ্যে ২০০২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে পরিবার জানতে পারে সাফিয়া মারা গেছেন। তাৎক্ষণিক মন্টুর বাড়িতে গেলে তাদেরকে জানানো হয় সাফিয়া আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে আসে সাফিয়া আত্মহত্যা করেননি,তাকে মারপিট করে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। সাফিয়ার মা কদবানু বাদী হয়ে ২০০২ সালের ৫ ডিসেম্বর মন্টুর বিরুদ্ধে শার্শা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলাটি তদন্ত করেন এসআই লিয়াকত হোসেন। তার তদন্তেও উঠে আসে সাফিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি ২০০২ সালের ২০ ডিসেম্বর আদালতে মন্টুকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন। বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। আসামি মন্টু পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।