যশোর শহরের শংকরপুরের সাব্বির হোসেন হত্যা মামলায় সন্ত্রাসী মুসাসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন,শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার হাফিজুর নাপিত প্রকাশ ওরফে হাফিজুর রহমান সরদারের ছেলে মুসা, ওসমান মোল্লার ছেলে মনিরুল প্রকাশ মনি, মৃত আমিনুল ইসলামের ছেলে এনামুল হক বিজয়, শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আলমগীর হোসেন আলী প্রকাশ ওরফে বেড়ে আলীর ছেলে সুইট, শংকরপুর ছোটনের মোড়ের কাজলের ছেলে বুলেট সাগর ও জিরোপয়েন্ট এলাকার মিন্টু রহমানের ছেলে তানভীর, আকবরের মোড়ের মজনুর ছেলে রাকিব হোসেন, সাদের দারোগার মোড়ের গোলাম মোস্তফার ছেলে শামীম ।
এছাড়া, অপরজন কিশোর আসামি শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার সেলিম মিয়ার ছেলে রায়হান।    
নিহত সাব্বির হোসেন শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার আকবর আলীর ছেলে।
২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীরা ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় সাব্বিরের মা মাসুরা খাতুন বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম। পরে ডিবি পুলিশের  এসআই শফি আহমেদ রিয়েল এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সাব্বির ও রাব্বি দু’ ভাই। তারা শংকরপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় চা, পুরির ব্যবসা করতেন। ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাব্বিরের মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। এরপর তিনি বাইরে যান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাব্বিরের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে সন্ত্রাসীরা সটকে পড়ে। আহত সাব্বিরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন ।
এসআই শফি আহমেদ রিয়েল জানান,তদন্তে উঠে এসেছে অভিযুক্তরা সরাসরি এ হত্যার সাথে জড়িত। পূর্বশক্রতার জেরে পরিকল্পিতভাবে সাব্বিরকে হত্যা করা হয়েছে। যার নেতৃত্বে ছিলেন মুসা। আটককৃত কয়েক আসামি  আদালতে স্বাকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, মুসার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে। এছাড়া বুলেট সাগরের বিরুদ্ধে চারটি, রাকিব হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি ও শামীমের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ছয়টি। তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত।