বাগেরহাটে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
শনিবার সকাল থেকে জেলার তেলের পাম্পগুলোতে নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল। সরকারের কাছে জ্বালানি তেলের দাম কামানোর দাবি জানিয়েছেন গ্রাহকেরা।
বাগেরহাটের বিভিন্ন সড়কে মোটরসাইকেলে চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ আরিফ শেখ।
তেলের দাম বাড়ানোয় তিনি আক্ষেপ করে বলেন, মোটরসাইকেল চালিয়ে আর জীবিকা নির্বাহ করা যাবে বলে মনে হচ্ছে না। এখন যাত্রীদের কাছে বেশি ভাড়া চাইলে তারা বাড়তি ভাড়া দিয়ে যেতে চাইছে না।
ক্ষোভ প্রকাশ করে বাগেরহাট শহরের বাসিন্দা ইব্রাহিম শেখ বলেন, সরকার যা খুশি তাই করছে। জ্বালানি তেলের সঙ্গে সবকিছুর সম্পর্ক জড়িত। তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় সবকিছুর দাম আবার নতুন করে বেড়ে যাবে। গরিব খেটে খাওয়া মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে গেছে। এখন মরে যাওয়া ছাড়া কোনো পথ দেখছি না।
শহরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জাহিদুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি অথচ ব্যয় বেড়েই চলেছে। সরকারি চাকরিজীবীদের বছরে বছরে বেতন ভাড়া বাড়লেও সাধারণ মানুষের আয় তো আর বাড়েনি। আমাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
‘সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ কষ্টে আছে। জ্বালানির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় সরকারের প্রতি জনগণ ক্ষুব্ধ।’
সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে তেলের দাম কমানোর দাবি জানান তিনি।
বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের বাস চালক খায়রুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বাগেরহাট থেকে খুলনার ভাড়া জনপ্রতি ৫৫ টাকা। আজ সকাল থেকে বাড়তি দামে জ্বালানি কিনে গাড়ি রাস্তায় বের করেছি। তেলের দাম বাড়লেও আমরা এখনো ভাড়া বাড়াইনি। এখন থেকে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করা ছাড়া উপায় কি? যে হারে তেলের দাম বাড়ালো সরকার তাতে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলল।
দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর রাত থেকেই পাম্পে ক্রেতারা ভিড় জমান জানিয়ে বাগেরহাটের খানজাহান আলী ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা তাদের কাউকে ফিরাইনি। সরকারের বেঁধে দেয়া দামে সকাল থেকে জ্বালানি তেল বিক্রি করছি। তেলের কোনো সংকট নেই।
বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাটের অভ্যন্তরীণ ১৬টি রুটে বাস চলাচল করে। তেলের দাম যে হারে বৃদ্ধি করেছে সেই হারে নতুন করে আবার ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে। প্রশাসনের সঙ্গে সভা করে ভাড়া ঠিক করা হবে।