gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
‘রোহিঙ্গারা ফেরত না গেলে দেশ অনিরাপদ হবে’
প্রকাশ : সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর , ২০২২, ০৪:৪৭:৪২ পিএম
ঢাকা অফিস:
1662979687.jpg
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ১২ লাখ নাগরিককে, দীর্ঘসময় আশ্রয় দেয়ার কারণে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা, শান্তি, অর্থনীতি, সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।ঢাকার হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে সোমবার সকালে ৪৬তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মি’স ম্যানেজমেন্ট সেমিনারে (আইপিএএমএস) অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন সরকার প্রধান।প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের দীর্ঘদিনের অবস্থানের কারণে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নিরাপত্তাসহ সব ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে। তাদের দ্রুত মিয়ানমারে ফেরত না পাঠাতে পারলে দেশ অনিরাপদ হয়ে ওঠবে।শেখ হাসিনা বলেন, আমরা শান্তি ও জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি। শান্তিরক্ষা আমাদের সাংবিধানিক অঙ্গীকার। তাই আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। মিয়ানমারকে অনুরোধ করছি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে।সরকার প্রধান বলেন, বর্তমান বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ইস্যু। বাংলাদেশ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই কাজ করতে চায়। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় বাংলাদেশ এই নীতিতে বিশ্বাস করে।তিনি বলেন, আইপিএএমএস একটি বহুজাতিক প্ল্যাটফর্ম যা বন্ধুত্ব এবং উষ্ণতার অনুভূতি তৈরি করতে পারে যাতে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করে। আইপিএএমএস সব সময় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, এই ফোরামের মাধ্যমে পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া বাস্তবসম্মত বহু-পার্শ্বিক সমাধানে পৌঁছানোর জন্য সাধারণ স্বার্থের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে সহায়তা করবে।শেখ হাসিনা বলেন, যে কোনো দেশের সেনাবাহিনী সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করার অন্যতম উপাদান। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সময়ের সাথে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করেছে। শান্তি কার্যক্রমে অবদানের জন্য বাংলাদেশ আজ বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত।সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাফল্যের জন্য একটি ‘ডেভেলপমেন্ট মিরাকাল’ হিসাবে স্বীকৃত। বিশেষ করে দারিদ্র্য হ্রাস, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লিঙ্গ সমতা, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে।তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু শান্তির সুবিধায় বিশ্বাসী এবং জনগণের শক্তির ওপর নজর দিয়েছে, তাই অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় আমাদের বৈদেশিক নীতি থেকে শক্তি নিয়ে বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক অংশীদারদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছি।শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশের’ স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনা প্রধান প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান। ইন্দো প্যাসিফিক আর্মি ম্যানেজমেন্ট সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, যে সংকটই আসুক, একসাথে কাজ করলে তা মোকাবিলা করা যায়।

আরও খবর

🔝