gramerkagoj
শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪ ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
gramerkagoj
কাতারে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আট ভারতীয় গুপ্তচর মুক্ত
প্রকাশ : সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪, ১১:৩৯:০০ এএম , আপডেট : শনিবার, ২৭ জুলাই , ২০২৪, ১০:৩৩:৫৯ এএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2024-02-12_65c9bb2d8f7d8.jpg

ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচর বৃত্তির দায়ে গত বছরের অক্টোবরে ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক আট কর্মকর্তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। এরপর বছরের শেষ দিকে তাদের সাজার মেয়াদ কমিয়েছিল দেশটি। তবে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে অবশেষে ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক সদস্যদের মুক্তি দিয়েছে কাতার সরকার। এ আটজনের মধ্যে সাতজন ইতিমধ্যে দেশে ফিরে এসেছেন। তারা দীর্ঘ ১৮ মাস কাতারের কারাগারে বন্দি ছিলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, কাতারে বন্দি আট ভারতীয় ফিরে আসার বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছে ভারত সরকার। তারা দাহরা গ্লোবাল কোম্পানির হয়ে কাজ করতেন। আটজনের মধ্যে সাতজন ইতিমধ্যে ভারতে ফিরে এসেছেন। এসব ভারতীয়দের মুক্তি দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত কাতারের আমির নিয়েছিলেন। আমরা সেটিকে স্বাগত জানাই।
এই দাহরা গ্লোবালের হয়ে কাজ করার সময় ভারতীয় নৌবাহিনীর এসব কর্মকর্তা ইসরায়েলের কাছে গোপন তথ্য পাচার করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি ধরা পড়ার পর কাতার সরকার তাদের মৃতদণ্ড দেয়।
সবশেষে মুক্তি পাওয়া নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা হলেন, ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত, কমান্ডার অমিত নাগপাল এবং নাবিক রাগেশ। তাদের ২০২২ সালের আগস্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তখন থেকেই কারাগারে বন্দি ছিলেন।
ভারতীয় নৌবাহিনীর এসব কর্মকর্তা দেহরা গ্লোবাল নামের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাতারের নৌবাহিনীর হয়ে কাজ করতেন। তাদের কাজ ছিল কাতারি নৌবাহিনীর সদস্যদের ইতালির ইউ২১২ সাবমেরিনের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া।
কাতারের একটি আদালত ২০২৩ সালের অক্টোবরে তাদের মৃত্যুদন্ড দেন কাতার সরকার। ওই সময় ভারত জানিয়েছিল, এই রায়ে তারা ‘বিষ্মিত’ হয়েছে। এরপর মৃতকারন্ডপ্রাপ্ত এসব কর্মকর্তাকে ছাড়িয়ে নিতে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে দেশটি। এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের ডিসেম্বরে মৃত্যুদন্ডের সাজা স্থগিত করে তাদের অন্য সাজা দেওয়া হয়।
মুক্তিপ্রাপ্ত একজন জানিয়েছেন, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপের কারণে তারা ছাড়া পেয়েছেন। এ জন্য তারা সবাই মোদির প্রতি কৃতজ্ঞ।

আরও খবর

🔝