শিরোনাম |
বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচটি গোলশূন্য সমতায় শেষ হওয়ার পথে ছিল। বদলি খেলোয়াড় কিঙ্গা ওয়াংচুক তা তা আর হতে দেয়নি। ম্যাচের যোগ করা সময়ে বাংলাদেশি ফুটবলারদের হৃদয় ভেঙে দিলেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে ১-০ ব্যবধানের জয় পায় ভুটান।
৯১ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে পাওয়া বল ডি বক্সে কয়েক সতীর্থ ঘুরে তার কাছে আসলে বদলি নামা কিঙ্গা বল বাংলাদেশের জালে জড়িয়ে দেন। তার ভলি প্রতিহত করার কোনো সুযোগই ছিল না গোলরক্ষক মিতুল মারমার। যোগ করা সময়ে চেষ্টা করেও আর গোল সমতায় ফিরতে পারেননি জামাল ভূঁইয়া-শেখ মোরসালিনরা।
ম্যাচের শুরু থেকে দু’দল রক্ষণভাগ নিয়ে ছিল সতর্ক। যার ফল স্কোরশিট। ম্যাচের ১১ মিনিটে একটা সুযোগ পেয়েছিলেন ফাহিম। বক্সের মধ্যে থেকে শট নিলেও প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের শরীরে লেগে কর্নার হয়। ২০ মিনিটে সুযোগ পায় ভুটান। তবে সতীর্থের ফ্রি কিককে গোলবারে রাখতে পারেননি ভুটানের অধিনায়ক নিমা ওয়াংদি।
৩২ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পায় ভুটান। তবে বাংলাদেশকে বিপদ মুক্ত করেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। শেলথ্রিম নামগেলের দুর্দান্ত শট নিলে ফিঙ্গার টিপিং করে কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক।
আর বাংলাদেশের হয়ে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ভুটানের গোলরক্ষককে একা পেয়ে গোল দিতে ব্যর্থ হন শাহরিয়ার ইমন। পরে গোল না হলে দু’দল বিরতিতে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে দু’দলই গোল পাওয়ার মতো তেমন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারছিল না। তবে ম্যাচ শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে গোল করে ঠিকই ঘরের দর্শক-সমর্থকদের আনন্দে ভাসালেন সুপার সাব বনে যাওয়া কিঙ্গা। শেষ মুহূর্তে গোল খাওয়ার পুরোনো রোগই বাংলাদেশকে ডোবাল। এতে করে ফিফা প্রীতির দুই ম্যাচে একটি করে জয় পেল দু’দল। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের ১-০ ব্যবধানের বিপরীতে ভুটানও দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেল সমান ১-০ ব্যবধানে।
ভুটানের বিপক্ষে সবশেষ পাঁচ ম্যাচ পর পরাজিত হলো লাল সবুজের বাংলাদেশ।