gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
চট্টগ্রামে পাম তেলের দাম বৃদ্ধি, সয়াবিনও ঊর্ধ্বমুখী
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর , ২০২৪, ০৫:১৮:০০ পিএম
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
GK_2024-11-12_673339649f396.jpg

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে পাম তেলের রেকর্ড দাম বৃদ্ধি হয়েছে। গত এক মাসের ব্যবধানে প্রতি মণ পামতেলের দাম বেড়েছে প্রায় দুই হাজার টাকা। অপরদিকে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে সয়াবিনের বাজারও। ভোক্তারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি পরিকল্পিতভাবে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন। মূলত বাজারের চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে দাম বৃদ্ধি করে থাকে তারা। দেখা যায়, আমদানি মূল্যের সাথে বিক্রয় মূল্যের বিরাট ব্যবধান।
খাতুনগঞ্জের তেল ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দর বাড়ার কারণে দাম বাড়ছে। এছাড়া খাতুনগঞ্জে তেলের সরবরাহেরও সংকট রয়েছে। মূলত আন্তর্জাতিক বাজার বাড়ার প্রভাবে পাইকারিতে দাম বেড়েছে।
সোমবার খাতুনগঞ্জের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক মাস আগে প্রতি মণ (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) পাম তেল বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৫শ টাকায়। এক মাসের ব্যবধানে ১ হাজার ৯৪০ টাকা বেড়ে গিয়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৪৪০ টাকায়।
অন্যদিকে, এক মাস আগে প্রতি মণ সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৫শ টাকায়। বর্তমানে ১ হাজার ২২০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৭২০ টাকায়।
খাতুনগঞ্জের কয়েকজন তেল ব্যবসায়ী জানান, খাতুনগঞ্জের বাজারে পণ্য বেচাকেনা ও লেনদেনে যুগ যুগ ধরে কিছু প্রথা চালু আছে। নিজেদের সুবিধার অনেক প্রথা আছে যেগুলো আবার আইনগতভাবে স্বীকৃত নয়। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) স্লিপ। তেল কিংবা অন্য কোনো পণ্য কেনাবেচায় ডিও বেচাকেনার মাধ্যমে বিভিন্ন আগাম লেনদেন হচ্ছে। দেখা যায়, পণ্য হাতে না পেলেও ওই স্লিপটিই বেচাকেনা হচ্ছে। কোনো কোম্পানি বাজার থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্যের ডিও কিনে নেয়। যে দরে ডিও কেনা হয় তার বাজারদর যদি বেড়ে যায়, তখন পণ্যটি ডেলিভারি দিতে তারা গড়িমসি করে।
আবার দেখা যায়, কোম্পানির পণ্যই আসেনি, কিন্তু ডিও কিনে রেখেছেন অনেক বেশি। এর ফলেও কোম্পানি বাজারে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারে না। ফলে এসব পণ্যের দামও নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এক্ষেত্রে তেল ও চিনির ডিও বেচাকেনা বেশি হয়। বলা যায়, ডিও কারসাজির কারণে মাঝে মাঝে পণ্যের দাম আকাশচুম্বি হয়। এই সুযোগে কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দীন বলেন, ভোজ্যতেলের আন্তর্জাতিক বাজার চড়া। এছাড়া খাতুনগঞ্জের বাজারে সরবরাহ সংকটও রয়েছে। সব মিলিয়ে বাজার বাড়তি রয়েছে। ইমরান হোসেন নামে একজন ভোক্তা অভিযোগ করে বলেন, ভোগ্যপণ্যের বাজার সব সময় ব্যবসায়ীদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। তারা নিজেদের স্বার্থে বিভিন্ন অজুহাত দাড় করিয়ে ক্রেতাদের পকেট কাটেন। ভোগ্যপণ্যের বাজারে যেভাবে তদারকি হওয়া দরকার সেটিও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। প্রশাসন মাঝে মাঝে আকস্মিক অভিযানে বের হয়ে কিছু জরিমানা করে। তারপর আবার চুপ হয়ে যায়। ফলে বাজার ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ থাকে না।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝