gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ১ জুলাই ২০২৫ ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
gramerkagoj
ইউরোপিয়ান ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থী হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশ : রবিবার, ৫ জানুয়ারি , ২০২৫, ০৫:১৮:০০ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2025-01-05_677a5f30613b1.jpg

ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন জিসান হত্যার দায়ে তিন জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছে আদালত।
রোববার (৫ জানুয়ারি), ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিনের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হাসিবুল হোসেন ওরফে হাসিব, শ্রাবণ ওরফে শাওন ও আব্দুল্লাহ আল নোমান। তবে সজনী আক্তার নামে এক নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আসামিদের মধ্যে শাওন পলাতক রয়েছেন। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। অপর দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শরীফুল ইসলাম লিটন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
হাসিব গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাটের মৃত রফিকুল ইসলামের, শাওন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর গোবরার ওবায়দুল্লাহ মোল্লার ও রাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের পঞ্চকরনের জাকির হোসেন ওরফে খোকনের ছেলে নোমান।
জানা যায়, জিসান পড়াশোনার পাশাপাশি বাইক শেয়ারিংয়ের (পাঠাও) কাজ করতো। ২০১৯ সালের ১২ মে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শেরেবাংলা নগর থানাধীন শ্যামলীর সামনের রাস্তা থেকে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তার বাবা সাব্বির হোসেন সহিদ গাজীপুরের গাছা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে শেরেবাংলা নগর থানায়ও জিডি করেন। ২৩ মে গাছা থানাধীন মধ্য কামার জুড়ির হাসিবুল হোসেনের বাসার সেফটিক ট্যাংক থেকে জিসানের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সাব্বির হোসেন সহিদ ২৩ মে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুজানুর ইসলাম। ২০২২ সালের ৩০ মার্চ চার জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালীম আদালত চার্জশিটভুক্ত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

আরও খবর

🔝