শিরোনাম |
যশোরের ঘোপ ধানপট্টি বউ বাজারের ব্যবসায়ীরা আবারও স্বাভাবিকভাবে দোকান খুলেছেন। সোমবার সকালে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা জাহেদ হোসেন, পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু এবং ইঞ্জিনিয়ার কামাল আহম্মেদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং সমস্যার সমাধান করেন। পরে ব্যবসায়ীরা দোকান খুলে স্বাভাবিকভাবে বেচাকেনা শুরু করেন।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ছিল, বাজারের ইজারাদার দ্বিগুণ হারে খাজনা আদায় করছেন এবং ইজারাদারের লোকজন অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন। তবে পৌরসভার কর্মকর্তারা তদন্ত করে এসব অভিযোগের কোনো সত্যতা পাননি। বরং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারের ইজারা না পাওয়ায় স্থানীয় একটি পক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবসায়ীদের ব্যবহার করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছে।
পৌর প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু জানান, গত দুই মাস ধরে ইজারাদার আবু হাসান পূর্বের নির্ধারিত হারের চেয়ে কম খাজনা নিচ্ছিলেন ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে। সম্প্রতি তিনি পৌরসভার নির্ধারিত হারে খাজনা দিতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন। মূলত এ নিয়েই কিছু অসন্তোষ তৈরি হয়।
এর মধ্যে অনেক স্থায়ী দোকানদার ফুটপাত দখল করে দোকান বসিয়ে অন্য দোকানিদের কাছ থেকে দৈনিক হারে টাকা আদায় করছিলেন। অথচ তারাই আবার ইজারাদারকে খাজনা দিতে অস্বীকৃতি জানান। খাজনা যেন না দিতে হয় সে কারণেই এসব অভিযোগ আনা হয় । সকল পক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টির সমাধান করা হয়।
পৌরসভার প্রকৌশলী কামাল আহম্মেদ জানান, পৌরসভার নির্ধারিত খাজনার চেয়েও কম খাজনা নেওয়া হচ্ছিল। বাজারে গিয়ে দোকানগুলো মেপে সঠিক হারে খাজনা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো বাড়তি খাজনা আদায়ের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়ীদের করা অভিযোগগুলোরও কোনো ভিত্তি নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইজারাদার আবু হাসান বলেন, তিনি ব্যবসায়ীদের স্বার্থে দুই মাস ধরে পুরনো হারে খাজনা নিয়েছেন। এতে তার ক্ষতি হয়েছে। এখন পৌরসভার নির্ধারিত খাজনা চাওয়ায় তারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। এর পেছনে অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোববার তিন নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মোর্শেদ আলী এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী হেলাল আহম্মেদ সাগরের নেতৃত্বে একদল ব্যবসায়ী পৌরসভা ঘেরাও করে ইজারাদার আবু হাসান ও তার সহকারী রিপনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। পরে ওই দিনই বাজার পরিচালনার জন্য পূর্বের কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। হেলাল আহম্মেদ সাগর সভাপতি এবং যুবদল নেতা মোর্শেদ আলী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেন। স্থানীয় সূত্রের দাবি, এই কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যেই মূলত বাজারে বিভ্রান্তি ও অভিযোগের নাটক সাজানো হয়েছিল।