শিরোনাম |
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার উপকূলবর্তী যতীন্দ্রনগর ও মীরগাং এলাকা থেকে নজির গাজী (৪৯) ও দিদারুল ইসলাম (৩৮) নামে দুই জলদস্যুকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ জুন) রাত সাড়ে ৯টা ও ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তাদের ব্যবহৃত মাছ ধরার নৌকা থেকে একটি একনলা বন্দুক ও একটি ধারালো দা উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির মোল্যা।
আরও পড়ুন...
ইসরায়েল ছাড়তে চীনা নাগরিকদের নির্দেশ বেইজিংয়ের
ঘোপ বউ বাজারের জটিলতার অবসান বাড়তি খাজনা আদায়ের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি
স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে আটটার দিকে ৫-৭ জন অপরিচিত ব্যক্তি সুন্দরবন তীরবর্তী যতীন্দ্রনগর বাজারে পৌঁছে একটি মাইক্রোবাস বা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের সন্ধান করছিল। আচরণে সন্দেহ হলে এলাকাবাসী নাম-পরিচয়সহ জিজ্ঞাসা করলে তারা পালানোর চেষ্টা করে।
এই সময় দিদারুল ইসলামকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নজির গাজীকেও আটক করে।
আটক নজির গাজী জানিয়েছেন, তিনি সুন্দরবনের কুখ্যাত ‘জোনাব বাহিনী’র সদস্যদের লোকালয় থেকে সুন্দরবনে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করেন। সোমবার ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে বাহিনীর দুই সদস্যকে যতীন্দ্রনগর বাজার পর্যন্ত পৌঁছে দেন।
অপর জলদস্যু দিদারুল ইসলাম জানান, তিনি নজিরের অধীনে কাজ করেন এবং সুন্দরবনে জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করেন। তবে তার কাছে পাওয়া মোবাইল ও পাওয়ার ব্যাংক সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর তিনি দেননি।
আরও পড়ুন...
তেহরানবাসীকে সতর্ক করলেন ট্রাম্প
স্থানীয়দের দাবি, জোনাব বাহিনীর নামে বর্তমানে নজির, তার ছেলে আব্দুর রহিম, দিদারুল এবং আরও কয়েকজন জলদস্যু সুন্দরবনে তৎপর। তারা একটি পরিবহন ব্যবসায়ীর নৌকা ব্যবহার করে মাছ ধরার ছদ্মবেশে দস্যুতা চালিয়ে যাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, ওই ব্যবসায়ীর কোনো নৌকা থেকে জেলে অপহরণের ঘটনা ঘটেনি, যা সন্দেহ সৃষ্টি করছে।
ওসি হুমায়ুন কবির জানান, আটক দু’জন প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে যে তারা মাছ শিকারের ছদ্মবেশে সুন্দরবনে প্রবেশ করত। নজিরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ককশিটের নিচে লুকানো অবস্থায় একনলা বন্দুকটি উদ্ধার করা হয়েছে।
আটকদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জোনাব বাহিনীর সংগঠন ও সদস্যদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে বলেও তিনি জানান।