gramerkagoj
সোমবার ● ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ইতিকাফের ফযীলত
প্রকাশ : শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ০৯:৫২:০০ পিএম , আপডেট : রবিবার, ২৮ এপ্রিল , ২০২৪, ০৪:১৫:১৮ পিএম
এইচ এইচ জহিরুল ইসলাম মারুফ:
GK_2024-03-29_6606e4042e122.jpg

ইতিকাফ শিআরে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত একটি মাসনূন আমল। উপরন্তু রমযানের ফযীলত ও বরকত লাভ করার ক্ষেত্রে ইতিকাফের ভূমিকা অপরিসীম।
হাদীস শরীফে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানে শেষ দশ দিন ইতিকাফ করতেন। কিন্তু এক বছর ইতিকাফ করতে পারেননি। পরবর্তী বছর বিশ রাত (দিন) ইতিকাফ করেছেন। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৪৬৩।
ইতিকাফের মাধ্যমে লাইলাতুল কদর লাভ করার সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাইলাতুল কদর লাভের আশায় একবার রমযানের প্রথম দশ দিন ইতিকাফ করেন। এরপর কয়েকবার ইতিকাফ করেন মাঝের দশ দিন। এরপর একসময় শেষ দশ দিন ইতিকাফ করতে শুরু করেন এবং ইরশাদ করেন-
তোমরা রমযানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর অন্বেষণ কর। -সহীহ বুখারী : ২০২০
অন্য আরেক হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের মাঝের দশ দিন ইতিকাফ করতেন। এক বছর এভাবে ইতিকাফ করার পর যখন রমযানের ২১তম রাত এল... তিনি ঘোষণা করলেন, যে ব্যক্তি আমার সঙ্গে ইতিকাফ করেছে সে যেন শেষ দশকে ইতিকাফ করে। কারণ আমাকে শবে কদর সম্পর্কে অবগত করা হয়েছিল (যে, তা শেষ দশকের অমুক রাত।) এরপর তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ... সুতরাং তোমরা শেষ দশকে শবে কদর অন্বেষণ কর এবং প্রতি বেজোড় রাতে অন্বেষণ কর।
-সহীহ বুখারী : ২০২৭।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসে ইতিকাফের বেশ ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে।
হযরত হুসাইন ইবনে আলী রা: সূত্রে বর্ণিত- রাসূল সা: বলেন, যে ব্যক্তি মাহে রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করবে, সে যেন দু’টি হজ ও দু’টি ওমরাহ করেছে। -কাশফুল গুম্মাহ : ১/২১২।
অন্য এক হাদিসে ইতিকাফকারীর জন্য সুসংবাদ নিয়ে ইবনে আব্বাস রা: সূত্রে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূল সা: বলেন, ‘ইতিকাফকারী ইতিকাফের কারণে গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে যায় এবং সব নেকির সওয়াব অর্জন করে। -আল মুগনি : ৩/৪৫৫।
সহিহ নিয়তে ইতিকাফকারীকে আল্লাহ তায়ালা জাহান্নাম থেকে দুই দিগন্তেরও বেশি দূরে রাখবেন। হজরত ইবনে আব্বাস রা: বলেন, রাসূল সা: বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ইতিকাফ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার এবং জাহান্নামের আগুনের মধ্যে তিনটি পরিখার দূরত্ব সৃষ্টি করবেন। প্রত্যেক পরিখার প্রশস্ততা দুই দিগন্তের চেয়েও বেশি।’ -বায়হাকি।

আরও খবর

🔝