gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ গ্রামের কাগজের সংবাদে তোলপাড়

বকচর মাদক সিন্ডিকেটে দৌড়ঝাঁপ স্থানীয়দের সন্তোষ প্রকাশ
প্রকাশ : বুধবার, ১৭ এপ্রিল , ২০২৪, ০৯:৪০:০০ পিএম , আপডেট : মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল , ২০২৪, ০৫:০৭:১১ পিএম
বিশেষ প্রতিনিধি:
GK_2024-04-17_661fef9c8c8fe.jpg

যশোরের বকচর এলাকায় সক্রিয় মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের অপ্রতিরোধ্য মাদক বিকিকিনি নিয়ে গ্রামের কাগজে প্রকাশিত সংবাদে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পত্রিকায় বকচর এলাকার যে কয়জন মাদক কারবারীর নাম ছাপা হয়েছে সেই একই নামের ওই এলাকায় ৫/৭ জন করে থাকলেও “ঠাকুর ঘরে কেরে আমি কলা খাইনি” স্টাইলে অভিযুক্তরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। পত্রিকার সংবাদের পর ভাল মানুষ সাজতে তারা মাদক ব্যবসা করেনা বলে তাদের আত্মীয় স্বজনদের কাছে প্রচার করছে, ভাল সাজার চেষ্টা করছে।
এছাড়া পত্রিকায় কারা তাদের নামে তথ্য দিয়েছে বলে এলাকায় হুংকার ছাড়ছে দেখে নেবে বলে। মাদক কারবারীদের বাবার নাম ও নির্দিষ্ট ঠিকানা না ছাপলেও আর যাতে নিউজ না হয় সে জন্য বিভিন্ন বিতর্কিত মহলে দৌড়ঝাঁপ করছে বলেও তথ্য মিলেছে।
গত ১৭ এপ্রিল বকচর এলাকায় মাদকের অবাধ বিকিকিনি নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। বকচর এলাকার আলিফ, তুহিন, সাদ্দাম সংঘবদ্ধ মাদক সিন্ডিকেটের অব্যাহতভাবে ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ নানা ভার্সনের মাদক বিক্রি করছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয় এলাকাবাসীর তথ্যে। আলিফ, সাদ্দাম তুহিন ছাড়াও এলাকার আশিক, জাহিদ, রাজা, সম্রাট, নয়ন, শাওন, রানা, রাব্বি, কুতুব উদ্দিন, ইমদাদুল, হুঁশতলার নয়নসহ এক ডজন মাদক ব্যবসায়ীর তথ্য দেয়া হয়। সংবাদ প্রকাশিত হলে ১৭ এপ্রিল বকচর এলাকায় প্রশংসিত হয় দৈনিক গ্রামের কাগজ। বিভিন্ন ব্যস্ত মোড়ে, চায়ের স্টলে আলোচনায় ছিল আলিফ, তুহিন, সাদ্দাম সংঘবদ্ধ মাদক সিন্ডিকেট।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে অব্যাহত এই অনৈতিক কারবারের কারণে স্থানীয় যুবসমাজ মাদকে বুদ হচ্ছে। আর এই অপ্রতিরোধ্য মাদক কারবারে বাধ সাধলে তাকে শিকার হতে হচ্ছে মারপিট ও হত্যার হুমকির। সম্প্রতি এক মোটর শ্রমিককে হত্যার চেষ্টা করেছে চক্রটি। এই কারবার ও সেবনের কারণে এলাকার আইনশৃংখলার অবনতির পাশাপাশি শঙ্কিত তারা। গ্রামের কাগজের সংবাদে সন্তোষ প্রকাশ করে এলাকার লোকজন সিরিজ সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছেন। একইসাথে দ্রুত ওই এলাকায় পুলিশি টহল বাড়িয়ে চিহ্নিত ওই মাদক কারবারীদের আটক ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
বকচরের করিম পাম্প এলাকা, কবরস্থান ও টিবি হাসপাতাল এলাকার একাধিক ব্যক্তি গ্রামের কাগজের প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, সিন্ডিকেটের অনেকগুলো ডেরা রয়েছে যা এলাকার সবার জানা। ভয়ে মুখ খোলেননা কেউ। এলাকায় পুলিশের নজরদারি কম থাকায় মাদকসেবীরা সেবনের নিরাপদ জায়গায় চলে যাচ্ছে। ডজনখানেকের একটি চক্রের অপ্রতিরোধ্য বিচরণ ওইসব স্পটে। তবে ১৭ এপ্রিল দৈনিক গ্রামের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর ডেরাগুলোতে চক্রের লোকজন ও নেশাখোরদের আনাগোনা ছিলো না। তবে প্রত্রিকায় প্রকশিত মাদক কারবারীরা এলাকায় হম্বি তম্বি করেছে পত্রিকায় তথ্য কে সরবরাহ করেছে তা জানতে। এক দোকানীকে সন্দেহ করে তাকে শাসিয়েছে বলেও জানা গেছে। এছাড়া তথ্য সরবরাহকারীকে দেখে নেয়া হবে বলেও এলাকায় চক্রের কেউ কেউ প্রচার করেছে বলে তথ্য মিলেছে।
এদিকে পত্রিকায় প্রকাশিত মাদক কারবারীদের বাবার নাম ও সুনির্দিষ্ট ঠিকানা না থাকলেও এবং একই নামে ওই এলাকায় আরো ৫/৭ জন করে থাকলেও সিন্ডিকেট সদস্যরা দৌড়ঝাঁপ করেছে। যশোর শহরের বিতর্কিত লোকজন ধরে এবং সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট অনেককে ধরে দেন-দরবার করেছে আর যাতে সংবাদ প্রকাশিত না হয়। পত্রিকায় সংবাদ বন্ধ করে কিংবা প্রতিবাদ ছাপিয়ে ভাল মানুষ সেজে আবারো জোরালোভাবে অব্যাহত মাদক কারবার চালিয়ে যাওয়াও চক্রটির মূল উদ্দেশ্য বলে তথ্য দিয়েছে ওই এলাকার একটি সূত্র।

আরও খবর

🔝