
ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রাখায় এবং দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট না হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কমছে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
ভারত পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মাশিয়াল কাউন্সিলের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রীর পক্ষে উত্তর দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
টিপু মুনশি বলেন, দেশে বর্তমানে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টন। গত বছর পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছিল ২৩ দশমিক ৩০ লাখ মেট্রিক টন। এরমধ্যে ৩০ শতাংশ সংগ্রহকালীন এবং সংরক্ষণকালীন ক্ষতি বাদ দিলে উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬ দশমিক ৩১ লাখ মেট্রিক টন। উৎপাদিত পেঁয়াজ স্থানীয় চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট না হওয়ায় বিদেশ থেকে বিশেষ করে ভারত থেকে প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারতের মহারাষ্ট্রে বন্যা হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে ভারত সরকার ১৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রফতানি মূল্য প্রতি টন ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করেছে। আগে ভারতের রফতানি মূল্য ছিল ২৫০ থেকে ৩শ’ ডলার। এখন তা ৮৫০ ডলারে দাঁড়ানোর কারণে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
টিপু মুনশি বলেন, একইসঙ্গে ভারতের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয় ২৯ সেপ্টেম্বর। ফলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এমতাবস্থায় মিশর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির লক্ষ্যে দেশের প্রতিষ্ঠিত আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও বিশ্ব বাজারে রসুনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশেও রসুনের দামও বেড়েছে বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রী।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন।