gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪ ৫ চৈত্র ১৪৩০
gramerkagoj
যশোরে কমেছে সবজির দাম, বেড়েছে চালে
প্রকাশ : শনিবার, ১ অক্টোবর , ২০২২, ১২:৫৬:১৬ এ এম
কাগজ সংবাদ:
GK_1664564256.jfif
যশোরে কমেছে সবজির দাম, বেড়েছে চালেযশোরে কমেছে সবজির দাম। মোটা ও চিকন সব ধরনের চালে বেড়েছে দু’ টাকা করে। বড় ইলিশের দাম দু’ হাজার ছাড়িয়েছে। কমেনি আটা, ডিম, মসলা, মুরগি, সয়াবিন তেলের দাম।     
শুক্রবার প্রতি আঁটি পালং শাক বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়। মুলা শাক ও পুঁইশাক বিক্রি হয় ২০টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহে যার দাম ছিল ৩০ টাকা। এ সপ্তাহেও শিমের দাম বেশি। শুক্রবার প্রতি কেজি শিম বিক্রি হয় ১২০ টাকায়। গত সপ্তাহে রেকর্ড দাম সর্বোচ্চ ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয় শিম। গাজর ১৬০ টাকা কেজি। ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। বাধাকপি ও মুলা ১০ টাকা কমে এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা। অন্য সবজির মধ্যে পটল, চিচিঙ্গা, কচুরমুখি, ঢেঁড়স, ঝিঙে, কচুরলতি, করলা, কাঁচকলা, মিষ্টি কুমড়া এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। বেগুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা। উচ্ছে ৮০, বরবটি ৫০, পেঁপে ২০, লাউ প্রতি পিস ৪০-৫০, চাল কুমড়া ৩০-৪০টাকায় বিক্রি হয়।
শুক্রবার কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ৬০ টাকায়। সবজি বিক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, কিছুদিন আগে টানা বৃষ্টিতে সবজি পঁচে গেছে। বাজারে সবজি কম আসছে, তাই দাম বেড়েছে। ক্রেতা আবির চৌধুরী বলেন, নিত্যপণ্যের দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখছি না। বড় বাজারে আসা ক্রেতা ব্রিটিশ নাগরিক হেলেন ব্রাউন ট্রে ও ইরিনা স্পাসোজেভিচ বলেন, কাজের সূত্রে আমরা বৃটিশ কাউন্সিলে (ঢাকায়) এসেছি। আপাতত যশোরের পিটিআইতে আছি। আমরা নিয়মিত বাজার করি। বেশ কিছুদিন ধরেই দেখছি নিত্যপণ্যর দাম অনেক বেড়েছে।       
শুক্রবার যশোরের বড় বাজারে ইলিশ মাছ সর্বনিম্ন ৪৫০ থেকে সর্বোচ্চ ২২০০টাকায় বিক্রি হয়। মাছ বিক্রেতা আলাউদ্দিন গাজী বলেন, দুর্গাপূজার পরে ইলিশের দাম কিছুটা কমতে পারে। মাংস বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। সোনালি মুরগির দাম ২৯০ টাকা। লেয়ার ২৮০। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৬৫০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০টাকা কেজি দরে। এ সপ্তাহে লেয়ার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা হালিতে। সোনালি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। দেশি মুরগির ডিম ৫০ টাকা। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬০টাকা হালিতে। কোয়েল পাখির ডিম ১২টাকা হালি।
দু’ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়। প্যাকেট আটা ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খানিকটা কমেছে খোলা সয়াবিন তেলের দাম। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৮ টাকয়। গত সপ্তাহে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে থেকে ১৯২ টাকা লিটারে। মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে। মুগ ডাল ১০০ থেকে ১২০ এবং পাঁচ টাকা বেড়ে বুটের ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। ছোলার ডাল ৮০ টাকা। দু’টাকা বেড়ে চিনি ৯২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মোটা ও চিকন সব ধরনের চালে কেজিতে দু’ টাকা করে বেড়েছে। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। মিনিকেট ৬৭ থেকে ৬৯ টাকা। গত সপ্তাহে মিনিকেট বিক্রি হয় ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। কাজললতা ও আঠাশ ৬০ থেকে ৬২ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। বাসমতি ও নাজিরশাইল ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাল ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, বেচাকেনা কম তাই দোকানে পাঁচদিন হলো নতুন চাল তুলিনি। ভারত শুল্ক বসানোর খবরে দেশীয় চালের বাজারে দাম বাড়ানো হয়। যার প্রভাব পড়েছে। বেচাকেনা কম হচ্ছে। নতুন চালের মৌসুম না আসা পর্যন্ত চালের দাম কমবে না। অন্যদিকে মসলার বাজারে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫২০ টাকায়। দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়। লবঙ্গ ১৩০০ টাকা। প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকায়। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। রসুনের দাম ৭০ থেক ১৫০। আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে।     

আরও খবর

🔝