শিরোনাম |
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালের মধ্যে এবাং প্রাথমিক বিদ্যালয় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের কয়েকটি বেঞ্চ, বৈদ্যুতিক পাখা ও টিনের বেড়া পুড়ে গেছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিহতের নামে সারা দেশে ৫৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে একই ভাবে স্কুল পুড়িয়ে দেওয়ার নাশকতার ষড়যন্ত্র চলছে মনে করেন শিক্ষাবিদেরা।
পুলিশ জানিয়েছে, রোববার (১৯ নভেম্বর) ভোরের দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের গিলাশ্বর গ্রামের ১৩২ নম্বর গিলাশ্বর মরহুম আ. জব্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। এতে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের কয়েকটি বেঞ্চ, বৈদ্যুতিক পাখা ও টিনের বেড়া পুড়ে যায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাসুদুল করিম জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিয়ে কয়েকজন যুবক বিদ্যালয়ে আগুন দেয়। পরে তারা মিছিল সহকারে ঘটনাস্থল ছেড়ে যায়। তিনি আরও জানান, ওই শ্রেণিকক্ষে প্রথম শিফটে দ্বিতীয় শ্রেণির ৩২ ও পঞ্চম শ্রেণির ৩৫ শিক্ষার্থীর পাঠদান করা হতো।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবে। এছাড়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রেণিকক্ষটি দ্রুত মেরামত করে পাঠদানের উপযোগী করা হবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকবলেন, ‘রাজনীতির মূল লক্ষ্য আমাদের প্রজন্মের অধিকার নিশ্চিত করা। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, রাজনীতির নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর আগেও দশম সংসদ নির্বাচনে হয়েছিল। সেসময় নির্বাচন প্রতিহত করার নামে দেশে পাঁচশ’র বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্রকারীরা আবার নাশকতায় নেমেছে। যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস করতে চায় তাদের হাতে দেশ কখনও নিরাপদ থাকে না। দেশবাসীকে এজন্য সচেতন হতে হবে। সবাই মিলে নাশকতাকারীদের প্রতিহত করতে হবে।’
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়ে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায় বিএনপি-জামায়াত জোট। অথচ শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে স্কুলে আসতে চায়। ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে চায়। বিএনপিকে বলব, বিদেশে পালিয়ে থাকা ব্যক্তির নির্দেশে দেশ ধ্বংসের কর্মসূচি না দিয়ে শিক্ষার্থীদের কথা ভাবুন, দেশের কথা ভাবুন।’