শিরোনাম |
জুতা পছন্দের সময় কেবল সৌন্দর্য নয় পায়ের ব্যথার কথাও মনে রাখতে হয়। কারণ ভুল ভাবে হাঁটা হতে পারে ক্ষতির কারণ।
এই বিষয়ে বোর্ড প্রত্যয়িত অর্থোপেডিক সার্জন এবং ‘স্পোর্টস মেডিসিন ফিজিশিয়ান’ যুক্তরাষ্ট্রের ডা জেরোম এনাদ বলেন, ভুল ধরনের জুতা পরা আগে থাকা হাঁটুর ব্যথা আরও বাড়িয়ে তোলে।
উদাহরণ দিতে গিয়ে এই চিকিৎসক ‘ইট দিস নট দ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, ‘প্যাটেলোফেমোরল সিন্ড্রোম (ভারসাম্যহীনতার কারণে হাঁটুর সামনের অংশে ব্যথা) যদি থাকে তবে ঝাঁকি শোষণ করতে পারে এমন জুতা পরা উচিত। এতে হাঁটার সময় হাঁটু নিরাপদ থাকে।’
অন্যদিকে, হাঁটুর মাঝের অংশে ব্যথা থাকলে নিচু তল বিশিষ্ট জুতা পরা বা হাঁটতে সুবিধা হয় এমন জুতা পরা উচিত। হাঁটার সময় মাটিতে পায়ের পাতা সমতলভাবে পড়লে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা হাঁটুর ব্যথা বাড়িয়ে দেয়।
পায়ের বাঁকানো অংশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটা দেহের স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। এই অংশ ভেঙে গেলে পায়ের স্থায়িত্ব কমে যায় এবং হাঁটুতে বাড়তি চাপ পড়ে। ফলে হাঁটুর মাঝামাঝি অংশে ব্যথা হতে পারে।
বিষয়টি জানান যুক্তরাষ্ট্রের ‘গ্যারেজ জিম রিভিউস’য়ের এসিই প্রত্যয়িত ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক ও বিশেষজ্ঞ টিজে মেনটাস।
হাঁটা অনেকের কাছেই আলসেমির মতো মনে হতে পারে। হাঁটুর ব্যথা এড়াতে কীভাবে এবং কোথায় হাঁটা হচ্ছে সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। হাঁটুর ব্যথা এড়াতে নিতম্ব ও পশ্চাতের পেশিগুলোকে সংযুক্ত করা প্রয়োজন।
মেনটাস বলেন, ‘পশ্চাতের পেশিগুলো বড় ও শক্তিশালী। হাঁটার সময় এগুলোর ব্যবহার না করা হলে সংযোগস্থলগুলোতে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এই পেশিগুলো যুক্ত না করার ফলে হাঁটুতে বাড়তি চাপ পড়ে ও বেশি ভার বহন করতে হয়।’
শরীরচর্চা করার সময় অনেকেই অস্বস্তির স্বীকার হন। তবে এই সময় ব্যথা অনুভূত হলে বুঝতে হবে তা হাঁটুর গুরুতর ক্ষতি করছে।
লংহেলদিলাইফ ডটকম’য়ের ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক এবং ‘থেরাপিস্ট’ কেন্ট প্রোবস্ট বলেন, ‘ব্যথা একটা সংকেত প্রদান করে। যার মাধ্যমে বোঝা যায় যে, এখন থামা উচিত। এবং ব্যথা সৃষ্টি হয় এমন কোনো কাজ এড়িয়ে যাওয়া উচিত।’