gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ৯ মে ২০২৪ ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ফরিদপুরের হাট-বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম
প্রকাশ : সোমবার, ১১ ডিসেম্বর , ২০২৩, ০৩:৫৯:০০ পিএম , আপডেট : বুধবার, ৮ মে , ২০২৪, ০১:২৬:৪৫ পিএম
ফরিদপুর প্রতিনিধি:
GK_2023-12-11_6576db0826f10.jpg

ফরিদপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে মুড়িকাটা পেঁয়াজ। ফলে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। গত দুদিনের ব্যবধানে নতুন পেঁয়াজের দর কমেছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা আর পুরোনো পেঁয়াজের দর কমেছে ২০-৩০ টাকা।
সোমবার জেলা শহর ও আশপাশের বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, মুড়িকাটা পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি প্রকার ভেদে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে। যা গত দুতিন দিন আগে এই বাজারগুলোতে মুড়িকাটা (নতুন) পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪৫-১৫০ টাকা এবং দেশি (পুরোনো) পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২০০ টাকা পর্যন্ত।
সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউমের’ প্রভাবে টাকা তিন-চার দিনে ধারাবাহিক বৃষ্টিতে এ জেলার পেঁয়াজের ক্ষেত‍গুলোতে পানি জমে যায়। এতে চাষিরা নতুন পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে তুলতে পারেনি। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বন্ধের খবরে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের এ পেঁয়াজের দর বাড়িয়ে দেয়।
এদিকে হঠাৎ বাজার অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের পক্ষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা করা হয়।
এদিকে জেলার পেঁয়াজ চাষিরা জানিয়েছেন, অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় মাঠে নামতে পারছেন না তারা। তবে ভালো রোদ হলে কয়েক দিনের মধ্যে আবার পুরোদমে নতুন পেঁয়াজ বাজারে তোলা সম্ভব হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, জেলায় তিন প্রকারের পেঁয়াজের আবাদ হয়। এর মধ্যে শীতকালিন মুড়িকাটা পেঁয়াজ, গ্রীষ্মকালীন হালি পেঁয়াজ এবং দানা পেঁয়াজ। এ তিন ধরনের পেঁয়াজের মধ্যে হালি পেঁয়াজ বেশি আবাদ হয়।
তিনি বলেন, জেলায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছিল শীতকালীন এই পেঁয়াজটি। যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল লক্ষাধিক মেট্রিক টন।

আরও খবর

🔝