gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ৯ মে ২০২৪ ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ফাইনাল খেলা হবে ৭ জানুয়ারি : ওবায়দুল কাদের
প্রকাশ : রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর , ২০২৩, ০৫:৩৯:০০ পিএম , আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৯ মে , ২০২৪, ০২:৩৯:৫৬ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2023-12-31_659136c75292b.jpg

বাংলাদেশের নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারো নেই জানিয়ে নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খেলা হবে। ৭ জানুয়ারি ফাইনাল খেলা। নির্বাচন বিরোধীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং ভয় দেখাচ্ছে যাতে ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা না যায়। বাংলাদেশের মানুষ ৭১ সালকে ভয় পায়নি। এবারও যত বাধা আসুক ভয় পাবে না।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট বাজারের জিরো পয়েন্টে গণসংযোগে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, নির্বাচন বিরোধীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে যাতে ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা না আসতে পারে। তাদের জবাব দিতে হবে। আমরা দলে দলে একত্রিত হয়ে এর জবাব দেব। ৭ জানুয়ারি আমরা জবাব দেব। খেলা তো হবে। ৭ জানুয়ারি ফাইনাল খেলা। আন্তর্জাতিক সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে। বিদেশী শক্তি আমাদেরকে পরামর্শ দিলে গ্রহণ করব। কিন্তু আমাদের নির্বাচনের ক্ষতি হয় এমন শক্তিকে উস্কানি দিলে এটা মেনে নেব না। বাংলাদেশের নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারো নেই।
৭ তারিখ ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার একটা বড় দল নির্বাচনে নেই তাই আপনাদের দায়িত্ব বেড়ে গেছে। সবাইকে বলব যদি আপনারা আমাদের মার্কা নৌকাকে ভালোবাসেন, শেখ হাসিনাকে ভালোবাসেন এবং আমাকে ভালোবাসেন তাহলে ৭ তারিখ ভোটকেন্দ্রে আসুন। ভোটকেন্দ্রে আপনারা উপস্থিত হবেন কিনা আমাকে হাত তুলে দেখান। আপনাদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান জানাতে এসেছি। কেউ যদি মনে করেন কাদের ভাই তো হয়ে গেছে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে কি হবে? এটা কেউ মনে করবেন না। ভোটকেন্দ্রে আসবেন এবং ভোট দেবেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমি আপনাদের কাছে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। কোনো প্রার্থী বা কোনো একজন নামী নেতাকে তারেক জিয়া লন্ডন থেকে মারার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। আপনারা এটা প্রতিরোধ করবেন। বাংলাদেশের মানুষ ৭১ সালকে ভয় পায়নি। এবারও যত বাধা আসুক ভয় পাবে না।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদ উল্যাহ খান সোহেল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, ফেনী-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান, কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলিসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রোববার সকাল ১০টায় বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ভোট চেয়ে এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেন ওবায়দুল কাদের। এরপর বসুরহাট পৌরসভা, চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সিদ্দিকীয়া বাকারসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি।
এসময় ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, তাশিক মির্জা কাদেরসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের সাহেব বসুরহাট পৌরসভা, চরকাঁকড়ার সিদ্দিকীয়া বাজার, চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের আশপাশের এলাকায় গণসংযোগ করেন। সর্বশেষ তিনি কবিরহাট উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গণসংযোগ করবেন। কোম্পানীগঞ্জের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সাত জানুয়ারির জন্য। ভোটের মাধ্যমে আমরা বিএনপি জামায়াতের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেব।
কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান বলেন, ওবায়দুল কাদের কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের জনতা বাজার, আলগী বাজার,মুকবুল চৌধুরীরহাট, আমিন বাজার চিরিঙ্গা, ল্যাঙ্গার দোকান হয়ে নলুয়া ভূঁঞারহাট, আবদুল্যাহ মিয়ারহাট, কালামুন্সি বাজার, করমবক্স বাজার, ফরাজী বাজার ও ভূঁইয়ারহাট বাজারে গণসংযোগ করবেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (নৌকা), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা (চেয়ার), জাসদের মোহাম্মদ মকছুদের রহমান (মশাল), জাতীয় পার্টির খাজা তানভীর আহমেদ (লাঙ্গল) ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শাকিল মাহমুদ চৌধুরী (ছড়ি) প্রতীক পেয়ে প্রচারণা করছেন। এ আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা চার লাখ চার হাজার ৯৭৭ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার হলেন দুই লাখ নয় হাজার ৬৯৩ জন ও নারী ভোটার হলেন এক লাখ ৯৫ হাজার ২৮৪ জন। ১৩২ কেন্দ্রে ৯০০ ভোটকক্ষে এসব মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

আরও খবর

🔝