gramerkagoj
রবিবার ● ১৯ মে ২০২৪ ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
gramerkagoj
আদালতের বারান্দায় ধস্তাধস্তিতে তিনতলা থেকে পড়ে গেলেন স্বামী-স্ত্রী
প্রকাশ : সোমবার, ১৫ জানুয়ারি , ২০২৪, ০৮:০১:০০ পিএম
মেহেরপুর প্রতিনিধি:
GK_2024-01-15_65a53c17c0d83.jpg

মেহেরপুর জজকোর্টের তিনতলার বারান্দা থেকে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন স্বামী-স্ত্রী। পারিবারিক গোলযোগের জের ধরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তারা দু’জনই বারান্দা থেকে নীচে পড়ে যান। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, স্বামী মামনুর রশিদ (৩৫) ও স্ত্রী সিমা খাতুন (২৮)।
মামনুর রশিদ গাংনী উপজেলার শওড়াতলা গ্রামের বাসিন্দা ও সিমা খাতুন একই উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের মালিপাড়ার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, একজন কালো বোরকাপরা নারী ও মেরুন রঙের জ্যাকেট পরিহিত পুরুষ আদালত ভবনের তিনতলার বারান্দায় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হলে আদালতের তিনতলার বারান্দা থেকে তারা দু’জনই নিচে পড়ে যান। পরে লোকজন ছুটে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
আহত সিমা খাতুন বলেন, ২০১১ সালে তাাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সংসার ভালোই চলছিলো। তবে সংসারে বাচ্চা না হওয়াকে কেন্দ্র করে দুটি পরিবার বিবাদে জড়িয়ে পড়ে ও আদালতে পৃথক মামলা করে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে আদালতে মামলা রুজু করা হয়। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মামনুর রশিদকে দুই লাখ টাকা অর্থদন্ড করা হয়। আদালতের রায়ের ২০ হাজার টাকা জমা দিতে এসেছিলেন মামুন। সিমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আদালতের তিনতলা থেকে মামুন তাকে ধাক্কা দিয়ে নীচে ফেলে মেরে ফেলার চেষ্টা করছিলেন। এসময় নিজেকে বাঁচাতে তিনি মামুনের হাত ধরে ফেলেন। এতে তারা দু’জনই নিচে পড়ে আহত হন।
অভিযোগ অস্বীকার করে আহত মামুনুর রশিদ বলেন, সিমা খাতুন তাকে মেরে ফেলার জন্য তিনতলা থেকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিতে চাইলে নিজেও পড়ে যান।
মেহেরপুর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক নাজমুস সাকিব বলেন, দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি রিপোর্ট করিয়ে আনতে বলা হয়। রিপোর্ট দেখার পর জানা যাবে শরীরে কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা।

আরও খবর

🔝