gramerkagoj
রবিবার ● ১৯ মে ২০২৪ ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
gramerkagoj
পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ৮.৪ ডিগ্রি
প্রকাশ : বুধবার, ২৪ জানুয়ারি , ২০২৪, ১২:২৬:০০ পিএম
পঞ্চগড় সংবাদদাতা:
GK_2024-01-24_65b0a9823968d.jpg

পঞ্চগড়ে একদিন সূর্য দেখার পর আবার ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে। কুয়াশার সঙ্গে শিশির ও হিম বাতাসে ঝরছে শীতের পারদ। শহর ও গ্রামীণ সড়কগুলোতে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। পঞ্চগড়ে আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রায় এ অঞ্চলে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এদিকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে দ্বিতীয় দিনের মতো পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, আজ সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শীতের তীব্রতায় জর্জরিত শিশু ও বৃদ্ধরা। লাগাতার শীতের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের। কাজকর্ম কমে যাওয়ায় দিন কাটছে অভাব-অনটনের ভেতর। প্রয়োজনের বাইরে শহরের অভিজাত মানুষজন ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষের শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে হচ্ছে।
১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুদিন পাঠদান ও মাধ্যমিকে ৩ দিন পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলার শিক্ষা কার্যালয়। তবে প্রাইভেট, কোচিং ও শিশু শ্রেণির মাদরাসাগুলোতে শিক্ষার্থীদের যেতে দেখা গেছে।
এদিকে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন। উপার্জন কমে যাওয়ায় টাকার অভাবে ঔষুধপত্র কিনতে পারছেন না অনেকে।
সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী জানান, হাসপাতালে শীতজনিত রোগ নিয়ে প্রচুর রোগী আসছে। বিশেষ করে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক শিশু। শীত বাড়লে এই রোগ আরও বাড়বে। পচা বাসী খাবার পরিহার, শিশুদের গরম কাপড় পরিয়ে রাখতে হবে। সাধারণ সর্দি-কাশিতে যত্ন না হলে জটিলতা বাড়তে পারে। একই সঙ্গে চর্মরোগ ও ডায়রিয়ার মতো রোগও বাড়ছে। শিশুদের ঠান্ডা থেকে দূরে রাখতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিহিস্টামিন ও অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো যাবে না। শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।

আরও খবর

🔝