শিরোনাম |
কট্টর ডানপন্থি গোষ্ঠী পর্তুগালে মুসলিমদের আগমন এবং ইসলামের বিরুদ্ধে সমাবেশ ডেকেছিল। কিন্তু রাজধানী লিজবনের সিটি কর্পোরেশন এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষ এই সমাবেশকে অনুমোদন দেয়নি। পরে তারা কোর্টের দারস্ত হলে কোর্ট এই সমাবেশকে নিষিদ্ধ করে। ফলে তারা স্থান পরিবর্তন করে অন্যত্র সমাবেশ আয়োজন করে। কিন্তু প্রতিবাদের জোরে তাদের এই সমাবেশ ভেস্তে যায়।
দেশটির রাজধানী লিসবনে বাংলাদেশি অধ্যুষিত অঞ্চলে এই কট্টর ডানপন্থি গোষ্ঠী শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ইসলামের বিরুদ্ধে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল। প্রতিবাদে বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠনসহ নানা বয়সের পর্তুগিজ নাগরিকরা প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে বাংলাদেশি অধ্যুষিত অঞ্চল সংলগ্ন লারগো ইনটেনদেন্ট চত্বরে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হন। ‘পর্তুগালে বর্ণবাদের স্থান নেই’, ‘বর্ণবাদী গোষ্ঠী নিপাত যাক’, ‘বর্ণবাদী তোমরা পর্তুগাল ছেড়ে যাও’, ‘অভিবাসীরা এখানেই থাকবে’- এরকম নানা স্লোগানে মুখরিত হতে থাকে চত্বরটি।
আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা সমাজকর্মী আন্তোনিও টোঙ্গা বলেন, ইসলাম বিরোধী ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিক্রিয়া জানাতে এসেছি, যারা এই অঞ্চলটিতে বসবাস করে তাদের অধিকারের প্রশ্নে আমরা একাত্মতা জানাতে এসেছি। ২৫ এপ্রিল শাসকের বিরুদ্ধে পতন ও গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের ৫০ বছর। তাই এর মূল্যবোধ বোঝানোর জন্যই আমরা এখানে এসেছি।
পর্তুগালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল ব্লক এস্কেরদার দলনেতা মারিয়ানা মর্তাগূয়া এই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি এখানে প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই জন্য যে, পর্তুগালে সংখ্যালঘু বা যেকোনো গোষ্ঠীর ওপর ঘৃণা ছড়ানোর জন্য কারো কোনো অধিকার নেই। এখানে বসবাসকারী প্রত্যেকটি মানুষ এই দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং তারা দেশের জন্য কাজ করছে।
ষাটোর্ধ্ব রোজা মারিয়া বলেন, পর্তুগাল ঐতিহ্যগতভাবেই অভিবাসীবান্ধব ধর্ম বর্ণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কেননা আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে। আমরা জানি ধর্ম মানুষের একটি বিশ্বাস। আর যারা এই বিশ্বাসে আঘাত করে তারা ঐতিহ্যকে অস্বীকার করে। সুতরাং এ ধরনের বর্ণবাদী মানুষদের রুখতে হবে এবং আমাদের গৌরবের ইতিহাসকে রক্ষা করতে হবে।
তাদের সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ধর্মের বর্ণের মানুষের যুক্ত হন। এখানে বসবাসকারী মুসলিমদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করার জন্য এখানে যুক্ত হন তারা।