শিরোনাম |
হালি কইরে শুনতিচি আমাগের টাঙাইলির শাড়ির জম্ম নাই ভারতে। শুইনে আকাটা মাইরে গিলাম। যদি কোন উমি মানসি এই কতা কইতো তাও জানের বুজ দিতি পাত্তাম। টাঙ্গাইলির শাড়ির উৎপত্তি বাংলাদেশে না বরং ভারতের পচ্চিমবঙ্গে’ বিলে ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় তাইগের সরকারি ফেসবুক পেজে পয়লা ফেব্রুয়ারি এট্টা পোস্টে দাবি কইরেছে। ফেব্রুয়ারি আমাগের ভাষার মাস, সেই মাসের পেত্তম দিন ইরাম এট্টা ভুয়ো দাবি কল্লি কিরামডা লাগে কওদিনি বাপু!
এই শাড়ির নাড়ি পুতা যে আমাগের দেশে তার হাজারডা উদারোন দিয়া যাবে। বিশ্বখ্যাত পরযোটক ইবনে বতুতা তিনার রিহলা নামের ভোমন বিত্তান্ততে পস্ট কইরে লিকে গেচেন বাংলার তাতের কাপুড়ির কতা। সেই সুমায় সুতি কাপড় ছিল বাংলার অন্যতম রপ্তানির জিনুস। সুনারগাত্তে দিল্লির সুলতানের দূত হিসেবে চীন যাওয়ার পতে ইবনে বতুতা কিছু মোসলমানের দেকা পান, যারা বাংলা অঞ্চলতে উন্নত সুতি বস্তর আইনে নানান জাগায় বেইচে বেড়াতো। ইবনে বতুতার এই ভোমন বৃত্তান্ত ছিল ১৪ শতকের। এত্তে ধারনা করা যায় তালি আমাগের দেশের তাত শিল্প কত আদি আমলের। বিটিশরা একবার এই তাত শিল্প খ্যায় করার চিস্টা দিল। তারা ঐ সুমায় তাইগের দেশের মেশিনির কাপড় আমাগের দেশে চালানোর ধান্দা করিল। সেই সুমায় স্বদেশি আন্দোলনের মুকি পইড়ে তাইগের সিডাও কাইজে গিলো।
ঐতিহাসিকভাবে টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরির সাতে যাইগের নাম আগে আসে তারা হইলো টাঙাইলির বসাক সম্প্রদায়। তাইগের দেকাদেকি আস্তের আস্তের মোসলমানরাও এই কাজে আইগোয় আসে। দেশভাগের পরেত্তে নানান কারনে বসাক সম্প্রদায়ের বহুত লোক এপারেত্তে চইলে যায় ওপারে। চইলে যাইয়েও তারা ওপারেও বাপ দাদার পিশায় যুক্ত হয়। হালি কইরে বানানো শাড়ি চলবে না বিলে নামডা তারা চালায় দেয় টাঙাইলির শাড়ি বিলে। টাঙাইলিত্তে পেত্তেক সপ্তায় হাজার হাজার শাড়ি ওপারে যাইতো, একনো যায়। এই শাড়ির জম্ম ওপাওে হলি এপারেত্তে যায় কিয়েত্তি? এর আগেও ইলিশ, জামদানি, ফজলি আম তাইগের নামে করার জন্যি পায়তারা করিলো। পরে ধোপে টিকতি না পাইরে পিছটান দিলো। রোহিঙ্গারা আমাগের দেশে আইসে জায়গির আচে, তারা যদি কোন জিনুস বানায় সিডা কি আমাগের বিলে দাবি কত্তি পারি?
উমি মানুস হয়েও আমাগের জিনুসির নাম উরা নেবে আমাগের সহ্য হচ্চে না। যাইগের ইডা দেকার কতা তাইগের কি সহ্য হচ্চে? আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা