gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
উচ্চ আদালতের রায় মৎসজীবী সমিতির পক্ষে উজ্জলপুর বাওড় নিয়ে অশান্ত পরিবেশ
প্রকাশ : শনিবার, ৮ মে , ২০২১, ০৯:৫১:১৫ পিএম
কাগজ সংবাদ:
1620489198.jpg
উচ্চ আদালতের রায় বাওড় মৎসজীবী সমিতির পক্ষে হওয়ার পরও ঝিকরগাছার উজ্জলপুর বাওড় নিয়ে অশান্ত পরিবেশের সৃষ্টি করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। বাওড় মৎসজীবীদের পক্ষে কথা বলা ও সহযোগিতার কারণে এক যুবলীগ নেতাকে ধরে এনে লাঞ্ছিত করেছে ওই চক্র। এদিকে যুবলীগ নেতাকে লাঞ্ছিত করার কারণে স্থানীয় যুবলীগের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নতুন করে উঠে আসছে মৎসজীবীদের বঞ্চিত করে ওই চক্রের ৫০ লক্ষ টাকার অধিক মাছ লুটের বিষয়। বাওড়  থেকে মাছ লুট ও অনেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া অর্থসহ অনেক অজানা কাহিনী বেরিয়ে আসছে। এদিকে বাওড় কেন্দ্রিক মৎস্য চাষ উন্নয়ন প্রকল্পের সদস্যরা দীর্ঘদিন মাছ চাষ করতে না পেরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।ঝিকরগাছার বাঁকড়া ইউনিয়নের উজ্জলপুর বাওড়টি নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয় মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প দীর্ঘ ৩০ বছর ভোগ দখল ও তাদের তত্ত্বাবধানে মাছ চাষ হয়ে আসছে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর পূর্বে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মাছ জোর পূর্বক ধরে নেয়। রাজনৈতিক ও প্রাশসনিকভাবে অভিযোগ করেও কোন ফল হয়নি। এদিকে জেলা জলমহাল কমিটি ২০২০ সালের ১০ মার্চ চুক্তি নবায়ন না করে মৎসজীবীদের মাছ ধরা প্রকল্প বন্ধ করে দেয়। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মৎস্য প্রকল্পের সদস্যরা উচ্চ আদালতে মামলা করে (রিট পি নংÑ৪৮৪৩ ২০২০)। আদালত চলতি বছরের ১ এপ্রিল তাদের বাওড়ে মাছ ধরা ও বাজারজাতকরণের অনুমতি দেয়। বাওড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নওশের আলি জানান, উচ্চ আদালতের রায় পেয়ে আমরা চুক্তি মোতাবেক চলতি বছরের ভ্যাট ও আয়কর পরিশোধ করি। আদালতের নির্দেশ মাফিক আমরা বাওড়ে নেমে কাজ করতে থাকি। মৎস্যজীবীদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় আমাদের পূর্বের মাছ লুটের মূল হোতারা কতিপয় সন্ত্রাসী নিয়ে গত ২৭ এপ্রিল স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাহিনকে আটকে রাখে এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। বাঁকড়া বাজারস্থ যুবলীগ নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে এর বিপক্ষে অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি সংঘর্ষের দিকে গড়ায়। তার আগেই বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রিপন বালার নেতৃত্বে পুলিশ ওই হোতার বাজার অফিস থেকে তাকে উদ্ধার করে। এদিকে ওই চক্রের মাছ লুট, বাজার ইজারার টাকা আত্মসাতসহ বিভিন্ন অপকর্মের বিষয় নিয়ে স্থানীয় মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বাওড় মৎস্যজীবী সদস্য, এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বরসহ অনেকে। কিন্তু সব অভিযোগ চাপা পড়ে আছে। বাঁকড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক এক নেতা জানান, আমারা মৎস্যজীবীদের পক্ষে আছি। আদালতের রায় বাস্তবায়ন হোক আমরা এটা চাই।এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, বাওড়ের শেয়ার দেওয়ার নামে ওই প্রবাবশালী অনেকের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। সে কারণে আদালতের রায়ের তোয়াক্কা না করে মৎস্যজীবীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা বাওড় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রিপন বালা জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আছে। আইনের বাইরে যাবার সুযোগ কারো নেই।এব্যাপারে উপজেলা মৎস্য অফিসের একজন কর্মকর্তা জানান, সবকিছু বিধি মোতাবেক হবে। 

আরও খবর

🔝