gramerkagoj
শনিবার ● ৪ মে ২০২৪ ২১ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
বিশ্ব ৪০ লাখ মৃত্যুর মাইলফলকে
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই , ২০২১, ০৪:২৭:১২ পিএম
:
1625673693.jpg
পৃথিবী নজিরবিহীন এক মহামারীর কবলে পড়ার পর পেরিয়ে গেছে দেড় বছর। এই সময়ে করোনাভাইরাস কেড়ে নিয়েছে অন্তত ৪০ লাখ মানুষের প্রাণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই দুঃখজনক মাইলফলকে পৌঁছানোর খবর দিয়ে সতর্ক করেছে সেইসব ধনী দেশকে, এশিয়ায় সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও যারা বিধিনিষেধ শিথিল করার পরিকল্পনা করছে।জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় এ সঙ্কটের শুরু থেকে হালনাগাদ তথ্য নিয়ে নিয়মিত যে টালি প্রকাশ করে আসছে, বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২১ মিনিটে সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ৪০ লাখ ৬৪১ জনে পৌঁছায়। এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে তিন মহাদেশের মাত্র তিনটি দেশে। এই তালিকার শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষ, যা বিশ্বের মোট মৃত্যুর ১৫ শতাংশ। ব্রাজিলে ৫ লাখ ২৮ হাজার এবং ভারতে ৪ লাখ ৪ হাজার মানুষের মৃত্যুর তথ্য এসেছে সরকারের খাতায়। বিশ্বজুড়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে সাড়ে ১৮ কোটিতে। এর ৪৪ শতাংশের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে সেই যুক্তরাষ্ট্র, ভারত আর ব্রাজিলে। ৩ কোটি ৩৭ লাখ শনাক্ত রোগী নিয়ে এ তালিকাতেও সবার উপরে যুক্তরাষ্ট্র। এসব সংখ্যা হিসাব করা হয়েছে সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে। বিশ্বের অনেক দেশে এখনও করোনাভাইরাস পরীক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। ফলে আক্রান্ত ও মৃত্যুর অনেক তথ্যই এ হিসাবের বাইরে থেকে গেছে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুসও বলেছেন, ৪০ লাখ মৃত্যুর এই সংখ্যা বাস্তবতার তুলনায় ‘অনেক কম’। তার ভাষায় বিশ্ব এখন মহামারীর এক বিপজ্জনক মোড়ে পৌঁছেছে। ২০১৯ সালের শেষে নতুন এক করোনাভাইরাসের প্রকোপের কথা বিশ্বকে জানিয়েছিল চীন। সেখানে প্রথম মৃত্যুর খবর এসেছিল ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারি, নতুন এক করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর দিয়েছিল চীন। সেই সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়ায় ২৯  সেপ্টেম্বর। এরপর ২০ লাখে পৌঁছায় এ বছর ১৬ জানুয়ারি।জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবে, গত এক সপ্তাহে বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে ৭ হাজার ৯০০ মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত হয়েছে। সেই হিসেবে বিশ্বের মহামারী পরিস্থিতি এখন গত জানুয়ারির তুলনায় ভালো। ওই সময় প্রতিদিন গড়ে ১৪ হাজার ৭০০ মৃত্যুও হয়েছে। তবে গতবছরের জুলাইয়ের তুলনায় এখন মৃত্যু হচ্ছে বেশি। সে সময় দৈনিক গড় মৃত্যু ছিল পাঁচ হাজারের মত। কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা ২০ লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ঠিক এক বছর পাঁচ দিন। তা দ্বিগুণ হতে ছয় মাসও লাগল না। এই দুঃখজনক অধ্যায় থেকে কবে বিশ্ববাসী মুক্ত হতে পারবে তা একনো পর্যন্ত বিশ্বের কোনো সংস্থাই এখনো পর্যন্ত বলতে পারছে না। এ অবস্থায় আসুন আমরা সবাই নিরাপদ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।

আরও খবর

🔝