gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
রাজশাহীর নগরীর পদ্মার বাঁধ ঘেষা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, দুই হাজার পরিবার পানি বন্দি
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট , ২০২১, ০৫:৪৪:৪৫ পিএম
হাফিজুর রহমান পান্না, রাজশাহী ব্যুরো ::
1629373925.jpg
উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে হুহু করে বাড়ছে পানি। গত ১২ ঘন্টায় পদ্মা নদীর বাজশাহী সিমানায় পানি বেড়েছে ৬ সেন্টিমিটার। এতে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকাল ছয়টায় পদ্মার পানির লেবেল রেকর্ড করা হয় ১৭ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। এর আগের দিন বুধবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬ টায় পদ্মায় পানি ছিল ১৭ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার।এদিকে, পদ্মায় পানি বাড়ায় রাজশাহীর দুটি উপজেলায় জলমগ্ন দেখা দিয়েছে। তাতে পানিবন্দি হয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার। এমন অবস্থা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে। নদীর বাঁধ ঘেষা ওয়ার্ডটিতে প্রায় ২ হাজার পরিবার জলমগ্ন হয়ে পড়েছেন। এতে অন্যত্রে ভাড়া বা অত্মীয়ের বাড়িতে উঠেছেন তারা এমনটি বলছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর।রাসিকের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলী বলছেন, ‘এই মানুষগুলোর জন্য ত্রাণের কোন ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোন সারা পাওয়া যায়নি। ত্রাণের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে কাজ করছি।’বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, কোথাও হাটু, আবার কোথাও কোমড়। কোথায় বা ঢুবেছে থাকার ঘরটিও। এমন অবস্থায় রাজশাহী নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের পদ্মার বাঁধের ঢালুর ২ হাজার ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। ঘর ছাড়া হয়েছেন প্রায় ৮ হাজার মানুষ।পদ্মা নদীর দক্ষিণে বাঁধের ঢালু এলাকার নগরীর কেদুর মোড়, পঞ্চবটি, রাণীনগর, শিমুলতলা, বালুরঘাট, তালাইমারী, বাজে কাজলা, কেদুর মোড় ও রামচন্দ্রপুরে কিছু ঘর-বাড়ি তলিয়ে গেছে। কোন কোন বাড়ির শুধু টিন দেখা যাচ্ছে। আবার অনেক বাড়িতে কোমড় পানি। এছাড়া কিছু কিছু বাড়িতে পানি ঢোকায় অনেকেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র ভাড়া গেছেন বাসিন্দারা। আবার কেউ কেউ পানির মধ্যে বসবাস করছেন।রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডে গেজ রিডার (পানি পরিমাপক) এনামুল হক জানান, ‘গত ১২ ঘন্টায় পদ্মা নদীর বাজশাহী সিমানায় ৬ সেন্টিমিটার পানি বাড়ছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকাল ছয়টায় পদ্মার পানি ছিল ১৭ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। এর আগের দিন বুধবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬ টায় পদ্মায় পানি ছিল ১৭ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার।তিনি আরো জানান, গত মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সকাল ছয়টায় ছিল ১৭ দশমিক ৫৯ ও সন্ধ্যা ছয়টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬৪ সেন্টিমিটার। সোমবার (১৬ আগস্ট) সকাল ছয়টায় ছিল ১৭ দশমিক ৫০ ও সন্ধ্যা ছয়টায় ছিল ১৭ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার, রোববার (১৫ আগস্ট) সকাল ছয়টায় ছিল ১৭ দশমিক ৩৯ ও সন্ধ্যা ছয়টায় ছিল ১৭ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার ও শনিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ছয়টায় ছিল ১৭ দশমিক ৩০ ও সন্ধ্যা ছয়টায় ছিল ১৭ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার।’তিনি বলেন, ১৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার পদ্মায় পানির হিসেবে বিপদসীমা। এমনভাবে পানি বাড়তে থাকলে দ্রুতই বিদপসীমার কাছে চলে আসবে পদ্মার পানি।রাজশাহী জেলা ত্রাণ ও পনূবাসন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ‘গোদাগাড়ী ও বাঘা উপজেলায় পানিবন্দিদের মাঝে পাঁচ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে।’

আরও খবর

🔝