কলম্বিয়ার সবচেয়ে বড় মাদক ব্যবসায়ী ও অপরাধী চক্রের প্রধান দাইরো আন্তোনিও উসুগাকে অবশেষে আটক হয়েছেন। এই মাদক ব্যবসায়ীকে বহুদিন ধরেই খোঁজা হচ্ছিল।অ্যাতোনিয়েল নামেই বেশি পরিচিত দাইরো আন্তোনিও উসুগাকে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শনিবার আটক করতে সক্ষম হয়।বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার পানামা সীমান্তবর্তী অ্যান্টিকোয়া প্রদেশের প্রত্যন্ত আস্তানা থেকে দেশটির সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে। অ্যাতোনিয়েল সম্পর্কে তথ্য পেতে ৮ লাখ (বাংলাদেশি মুদ্রায় সাত কোটি টাকার বেশি) মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল কলম্বিয়ার সরকার। আর ৫০ লাখ মার্কিন ডলার  ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।এদিকে শীর্ষ এই মাদক ব্যবসায়ী ও অপরাধীকে আটকের পর এক টেলিভিশন বার্তায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আইভ্যান ডুকে। তিনি বলেছেন, এই শতকের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এটি সবচেয়ে বড় আঘাত। একে শুধুমাত্র নব্বইয়ের দশকে পাবলো এসকোবারের পতনের সঙ্গে তুলনা করা যায়। অভিযানে একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।কলম্বিয়ার সশস্ত্র বাহিনী পরবর্তীতে একটি ছবি প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যায় যে- হাতকড়া লাগানো অ্যাতোনিয়েলকে সৈনিকরা পাহারা দিয়ে রেখেছে। ৫০ বছর বয়সী এই মাদক ব্যবসায়ীকে ধরতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অসংখ্য অভিযান চালানো হয়েছে, যেসব অভিযানে হাজার হাজার কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন। কিন্তু কোনো অভিযান সফল হয়নি।দশ বছর আগে নববর্ষের পার্টিতে পুলিশের একটি অভিযানে তার ভাই নিহত হওয়ার পর গালফ ক্ল্যানের প্রধান হয়ে ওঠেন অ্যাতোনিয়েল, যেটি আগে উসুগা ক্ল্যান নামে পরিচিত ছিল।কলম্বিয়ার নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এই দলটি হচ্ছে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী অপরাধী চক্র। যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের বর্ণনা অনুযায়ী, ‘এরা হচ্ছে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত চরম সহিংস একটি দল। ’ ধারণা করা হয়, এই দলে ১ হাজার ৮০০ সশস্ত্র সদস্য রয়েছে, যাদের চরম ডানপন্থী আধাসামরিক বাহিনীগুলো থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, হন্ডুরাস, পেরু এবং স্পেন থেকেও এই চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে।২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিচারে অভিযুক্ত হয়েছেন অ্যাতোনিয়েল। ফলে তাকে বিচারের জন্য বহিঃসমর্পণ চাইতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।