প্রকাশ : বুধবার, ২৭ অক্টোবর , ২০২১, ০৭:৩৫:৩০ পিএম
যশোরে লাইসেন্স বিহীন ইজিবাইক ও ব্যাটারি অটো রিকশা বন্ধে নভেম্বর থেকে মাঠে নামছে পৌরসভা। কয়েকদিন আগে শহরে এ নিয়ে মাইকিংও করা হয়। এ ধরনের যানবাহন চলাচল করলে তা জব্দ করার ঘোষণাও দেয়া হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, তিন হাজার ইজিবাইকের লাইসেন্স থাকলেও চলছে প্রায় ১০ হাজার। যানজট লেগেই থাকে প্রতিনিয়ত। তাছাড়া, যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় নিয়েও রয়েছে নানা বিতর্ক। যশোর শহর যানজট মুক্ত করতে ২০১৮ সালে ডিজিটাল যশোরে অবৈধ ইজিবাইক শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় কাজ শুরু করে পৌর কর্তৃপক্ষ। ওই সময় লাইসেন্সধারী ইজিবাইক মালিক ও চালকদের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডি সংক্রান্ত (আরএফআইডি) স্মার্ট পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়। এই পদ্ধতির ব্যবহারে কিছুদিন যানজট ও অবৈধ ইজিবাইক চলাচল কমলেও তা আর বেশিদূর এগোয়নি। ফলে আগের অবস্থা ফিরে এসেছে।পৌরসভার তথ্যমতে, তিন হাজার ইজিবাইক শহরে চলাচলের অনুমতি আছে। কিন্তু প্রতিদিন প্রায় সাড়ে নয় হাজার ইজিবাইক চলাচল করছে। একই সাথে শহরে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা চলাচল করে। ফলে,শহরে বাড়ছে যানজট। কিছু ইজিবাইক ও অটো রিকশা চালকরা ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। যা নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।শহরতলির কিসমত নওয়াপাড়ার কুরবান জানান, বুধবার সকালে তিনি শহরের দড়াটানায় যাওয়ার উদ্দেশে অটো রিকশায় উঠেন। তিনি প্রতিদিনই ২০ থেকে ২৫ টাকা ভাড়া দিয়ে যান। কিন্তু এদিন তাকে দড়াটানায় নেমে ৩৫ টাকা ভাড়া গুণতে হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু এদিন নয় প্রায়ই পাঁচ থেকে ১০টাকা বেশি ভাড়া আদায় করছে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা চালকরা। শেখহাটি এলাকার শহিদুলের ছেলে রহিম হোসেন জানান, তার কাছ থেকে ইজিবাইক চালক বেশি টাকা দাবি করায় উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ইজিবাইক চালক ফয়েজ উদ্দিন জানান,পৌরসভার মধ্যে ইজিবাইক চালাতে হলে তাদের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চাঁদা দিতে হয়। যার জন্যে মাঝে মধ্যে ভাড়া বেশি নিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি। যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন বলেন, পৌরসভায় সব সময়ই অবৈধ অটো রিকশা ও ইজিবাইক নিয়ে অভিযান চালায়। কিছুদিন আগেও ৫০টি অটো রিকশা আটক করে পৌরসভা। এগুলোর চলাচল রোধে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অভিযান শুরু হবে।