gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদে দৃষ্টিনন্দন বাগান, নজর কেড়েছে সবার
প্রকাশ : সোমবার, ৪ জুলাই , ২০২২, ০৭:১১:১৮ পিএম
এস.এম.রকি, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: :
1656940295.JPG
সকলের উৎসাহ আর পরামর্শে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদে দৃষ্টিনন্দন বাগান তৈরী করে সংশ্লিষ্টদের নজর কেড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা কাচিনীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাফিউল ইসলাম। সারি সারি মাটির টব আর ড্রামে বেড়ে উঠেছে বাহরি রকমের ফল ও ফুল।  দৃষ্টি কাড়ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। বিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, প্রবেশ গেট থেকে শুরু করে বিদ্যালয় ভবনের শ্রেণীকক্ষের সামনে, বারান্দায় টবে ঝুলন্ত ও ছাদে নানা প্রজাতির ফুল ও ফলের গাছ রয়েছে। ফুলের মধ্যে রয়েছে পারুল, গোলাপ, টগর, বেলি, বিল্ডিং হার্টস, অগ্নিশ্বর, তুলসী, গন্ধরাজ, মেহেদি, এরিকা পাম্প, চেরি, কাঁটা মুকুটসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল ও পাতাবাহার গাছ। এছাড়াও ফলের মধ্যে রয়েছে ডালিম, জামরুল, লেবু, পেয়ারা, পেঁপে, আম, আমড়াসহ নানা জাতের ফলের গাছ।বাগানের প্রতি ভালোবাসা ও আগ্রহ থেকেই ২০১৮ সালে বিদ্যালয় চত্বরে বাগান করা শুরু করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাফিউল ইসলাম। তিনি প্রথমে বিদ্যালয়ের চারপাশে গড়ে তোলেন ফুল ও ফলের বাগান। পরে টব কিনে ছাদে রোপণ শুরু করেন ফুল ও ফলের গাছ। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের বারান্দায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ফুলের টব টানানো রয়েছে। এছাড়াও এই বিদ্যালয়ে আছে সমৃদ্ধ লাইব্রেরির সাথে বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেল কর্নার। উপজেলার ১৪৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে নিজস্ব অর্থায়নে একমাত্র আইসিটি ক্লাসরুম রয়েছে এই বিদ্যালয়ে। সবমিলিয়ে স্কুলটি লেখাপাড়ার মানের দিক দিয়ে অনেক উন্নত। যার ফলে এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কয়েক বার উপজেলার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিউল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করা ও ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ফুল ও ফলের সাথে পরিচিত করার লক্ষ্যে ফুল ও ফলের বাগান করেছি। এতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা অবসরে সময় কাটিয়ে নিজেদের ক্লান্তি দূরে করে। তিনি আরো বলেন, বাগানের স্থায়ীত্ব ও সুন্দর পরিবেশ ধরে রাখতে সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অনেক বেশী যত্নশীল। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এস. এম এ মান্নান বলেন, বিদ্যালয়ে ছাদ বাগান করে প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয় কাজ করেছেন প্রধান শিক্ষক। সীমিত জায়গা ব্যবহার করে এ রকম বাগান করার জন্য উপজেলার সকল প্রধান শিক্ষককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এরশাদুল হক চৌধুরী বলেন, আমি যোগদানের পর হতেই যত গুলো প্রতিষ্ঠানে গিয়েছি এর মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানটির পরিবেশ অন্যতম। এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক একজন পরিশ্রমী মানুষ। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি স্কুলের পরিবেশটি সৌন্দর্যময় ও পরিচ্ছন্ন করে গড়ে তোলে শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন পরিবেশে পাঠদান করান। যা নিঃসন্দেহে একটি ভাল কাজ। এধরনের উদ্যোগ গ্রহণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করা হচ্ছে।

আরও খবর

🔝