প্রকাশ: শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ২:০৭ পিএম |

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেছেন, ডিজিটাল সেবা প্রদানে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। সারাবিশ্বে ডিজিটালের কথা উঠলেই এখন উচ্চারিত হয় বাংলাদেশের নাম। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফসল ডিজিটাল বাংলাদেশ। সেবা এখন হাতের মুঠোয়, জনগণ ঘরে বসেই সেবা পাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের পর এখন লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশের। ৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গঠনে তথ্য প্রযুক্তিই হবে আগামী দিনের চালিকা শক্তি। শনিবার সকালে যশোর টাউন হল মাঠে জেলা প্রশাসন আয়োজিত দু’দিনব্যাপি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
টাউন হল মাঠের রওশন আলী মঞ্চে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর আহসান হাবীব। স্বাগত বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগ যশোরের উপপরিচালক হুসাইন শওকত। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম আজম। সভা সঞ্চালনা করেন যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আহসান হাবীব পারভেজ।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর আহসান হাবীব বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে করোনাকালীন দূর্যোগের সময়। স্বাভাবিক জনজীবন স্থবির হয়ে গেলেও সে সময় ডিজিটালি সচল ছিল প্রশাসন। সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হয়েছে অনলাইনে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সূতিকাগার যশোর। সে ধারাবাহিকতায় যশোর শিক্ষবোর্ডের সব সেবা মিলছে অনলাইনে। শিক্ষা সংক্রান্ত সেবা সহজতর হয়েছে।
সভাপতির বক্তৃতায় যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, দিন বদলের সনদ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে রূপকল্প ২১। এখন সামনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়। উদ্ভাবনী চর্চার মধ্য দিয়ে অদম্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাবে দেশ।
আলোচনার সভা শেষে টাউন হল মাঠের উদ্ভাবন, ডিজিটাল সেবা, হাতের মুঠোয় সেবা এবং শিক্ষা ও দক্ষতা শিরোনামে চারটি প্যাভিলিয়নে ৬০টি স্টল পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
এর আগে সকাল দশটায় কালেক্টরেট চত্বরে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। ‘উদ্ভাবনী জয়োল্লাসে স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে মেলার এ শোভাযাত্রাটি কালেক্টরেট চত্বর থেকে শুরু হয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন মণি সড়ক, ঈদগাহ ময়দান সড়ক হয়ে কালেক্টরেট স্কুলের পাশ হয়ে ইনস্টিটিউট গেট দিয়ে টাউন হল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এরপর বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।
মেলার আয়োজকরা জানিয়েছেন সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মেলা চলবে। দর্শনার্থীদের জন্য মেলার স্টলে সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন ও সেবা গ্রহণের পাশাপাশি আছে কুইজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রোববার বিকেলে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে দু’দিন ব্যাপি এই ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা।