শিরোনাম |
ছোট্ট একটি ফল। একটু কষ ও তেঁতো ভাব থাকলেও আমলকি খাওয়ার পর মিষ্টি লাগে। কমলার চেয়েও না-কি বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে আমলকিতে। শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান রয়েছে এতে।
শুধু শরীর নয়, ত্বক ও চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানেও কার্যকরী ফল এটি। আয়ুর্বেদে আমলকির ব্যবহার সর্বত্র। চুলের জেল্লা বৃদ্ধি, রুক্ষ্মতা কমানো, ত্বকের উজ্জ্বলতা, পেটের সমস্যা দূর, শরীর চাঙা- এমন হাজারও উপকার করে আমলকি।
আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট একাধিক রোগের হাত থেকে বাঁচাতে পারে। তবে অতিরিক্ত আমলকি খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সুস্থ থাকতে আমলকি কতটুকু খাবেন ও অতিরিক্ত আমলকি খেলে কী হতে পারে-
জুস বা অন্য কোনোভাবে খাওয়ার থেকে আমলকি চিবিয়ে খাওয়াই ভালো। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২টি আমলকি খাওয়া যায়। এতে সবচেয়ে বেশি উপকার হয়। তবে দিনে দু’একটির বেশি আমলকি খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এ কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
সার্জারি হলে আমলকি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এ ছাড়াও ব্লাড থিনিংয়ের ওষুধ খেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আমলকি খাওয়া উচিত।
অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যদানকারী মায়েরাও আমলকি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
হার্টের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বেশি মাত্রায় আমলকি খাওয়ার অভ্যাস। বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদরোগের সমস্যা থাকলে ফলটি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আমলকির প্রভাবে অ্যালার্জিও হতে পারে। এ ছাড়াও পাকস্থলীর কৃমি, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটের ব্যথা হতে পারে।
এ ফল শরীরের তাপমাত্রা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। তাই বেশি পরিমাণে আমলকি খেলে জ্বর-সর্দি বা কাশি হতে পারে।