gramerkagoj
বুধবার ● ১৬ জুলাই ২০২৫ ১ শ্রাবণ ১৪৩২
gramerkagoj
শিরোনাম
শিরোনাম প্রবল বর্ষণে যশোরে সবজিসহ ৩১৯১ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত, দুশ্চিন্তায় কৃষক যশোরে কুমারী সেজে দ্বিতীয় বিয়ে ও মালামাল আত্মসাৎ, স্বামীর আদালতে মামলা পাউবির ত্বরিত পদক্ষেপে বিকল স্লুইস গেট সচল মণিরামপুরে আব্দুল মান্নান হত্যার দায় স্বীকার ভাই ও ভাইপোর অস্ত্রসহ আটক রয়েল দুই দিনের রিমান্ডে শান্তির হ্যাট্রিকে ভুটানকে হারালো বাংলাদেশ চৌগাছায় টানা বৃষ্টিতে একশ হেক্টর আউশ ধান পানির নিচে, দুশ্চিন্তায় কৃষকরা যারা নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে তারা গণতন্ত্রের বন্ধু হতে পারে না: অমিত একটি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও ভ্রমণ কাহিনী যশোরে একদিনের ব্যবধানে ফের আটটি স্বর্ণের বার উদ্ধার,  দুই পাচারকারী আটক
মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ
প্রকাশ : রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪, ০৮:৩৬:০০ পিএম
সম্পাদকীয়:
GK_2024-02-11_65c8db8067c1e.jpg

২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নেয় দেশটির সামরিক জান্তা। এর পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে নৃশংসতা চালাচ্ছে তারা। বেসামরিক নাগরিকদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং বিভিন্ন এলাকায় হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনাগুলোতেও বোমাবর্ষণ করেছে জান্তা বাহিনী। সেনা বাহিনী প্রতিরোধে লড়ছে মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী ও বিভিন্ন জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর যোদ্ধারা। রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে দেশটি। মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘন করে বিদ্রোহী বাহিনীর সদস্য ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যুদ্ধাপরাধ চালাচ্ছে জান্তা সরকারের সেনাবাহিনী। সম্প্রতি মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতির প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।
জান্তা বিরোধী লড়াইয়ে মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকা ও সেনাঘাঁটি দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। এ সময় কয়েক হাজার সেনা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আটক করে তারা। তবে তাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করেছে প্রতিরোধ বাহিনীর সদস্যরা। কারেন্নি রাজ্য দখলে গত ১৩ নভেম্বর অভিযান চালায় বিদ্রোহী প্রতিরোধ বাহিনী (কেএনডিএফ)। এ সময় সেখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে পড়া ৩০ সেনা সদস্যকে হত্যার পরিবর্তে তাদেরকে আত্নসমর্পণের সুযোগ দেয় তারা। এমনকি বোমা হামলা থেকে আটক সেনাদের বাঁচিয়ে তাদের চিকিৎসা দেয় কেএনডিএফের সদস্যরা। তিন মাস আগে ম্যাগওয়ে অঞ্চলে প্রতিরোধ বাহিনীর দুই সদস্যকে গাছে ঝুলিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে দেশটির সেনাবাহিনী। হত্যার আগে ওই তরুণদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালায় তারা।
জান্তা বিরোধীদের রুখতে ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছে বিদ্রোহীদের আক্রমণে কোণঠাসা সেনাবাহিনী। ইয়াঙ্গুন, বাগো, তানিনথারি অঞ্চল এবং মোন রাজ্যে 'পিপলস মিলিশিয়াস' নামে নতুন বাহিনী গঠন করেছে তারা। তাদের দেওয়া হচ্ছে নগদ অর্থ, খাবার ও অস্ত্র সহায়তা। ২৭ অক্টোবর মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জোট- থ্রি ব্রাদারহুড, সেনা বিরোধী অপারেশন শুরুর পর থেকেই জান্তা বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মিয়ানমারে এসব ধারাবাহিক কর্মকান্ডে চরম যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ মিলেছে। এখন এ সবের বিচার হওয়া যেমন জরুরি, তেমনই জরুরি সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়া। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বার বার মিয়ানমারের মর্টার সেল এসে পড়বে, এটি নিশ্চয়ই কারো কাম্য হতে পারে না।

আরও খবর

🔝