শিরোনাম |
গত রোববার ছিলো সড়ক হত্যা দিবস। দিবসটি স্মরণে কোনো কোনো সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেছে। দিনটি নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। তবুও বলতে হচ্ছে, দিন যত যাচ্ছে দীর্ঘ হচ্ছে সড়কে মৃত্যুর মিছিল। থেমে যাচ্ছে সম্ভাবনাময় আগামীর স্বপ্ন। কেই যেন দেখছে না। শুনছে না স্বজনদের আহাজারি। এতো নিয়ম ও আইন তবুও থামানো যাচ্ছে না এই যাত্রা। অনেকের ভাগ্যে সড়কে হত্যার বিচারতো দূরের কথা ক্ষতিপূরণটাও মিলছে না। আবার অনেক মানুষতো জানেই না সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়।
বিদায়ী ২০২৩ সালে সড়কপথে ছোট-বড় ৩৩ হাজার ৪৬৫টি দুর্ঘটনায় আহত ৪৯ হাজার ৯৯ জন এবং নিহতের সংখ্যা ৫ হাজার ৫৯২। একই সময়ে নৌপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ৯০৫টি। এতে আহত ১ হাজার ৩১৪ ও নিহতের সংখ্যা ১৯৬। রেলপথ দুর্ঘটনা ১ হাজার ১৯৬। এতে আহত ১ হাজার ৫৯ ও নিহত ২৫৭ জন। গত বছর বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি সংস্থা ‘সেভ দ্য রোড’ বাৎসরিক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। সংগঠনের মহাসচিব শান্তা ফারজানার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ হাজার ২৫২টি মোটরবাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭ হাজার ৮১৪ জন, নিহত ৯০৪ জন। ৯ হাজার ৮৬৭টি ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত ১০ হাজার ৮৩৪ এবং নিহত ৯৩৪ জন। নির্ধারিত গতিসীমা না মানা, পরিবহন মালিকদের উদাসীনতা ও সতর্কতা অবলম্বন না করা, বিশ্রাম ছাড়া ১২-২০ ঘণ্টা গাড়ি চালানোয় ১১ হাজার ৩৪৬টি বাস দুর্ঘটনায় আহত ১৩ হাজার ১৮৫ এবং নিহত হয়েছেন ২ হাজার ২৪৩ জন। এছাড়াও দায়িত্বে অবহেলা, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের দুর্নীতিসহ বিভিন্নভাবে সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ বাহন নাসিমন-করিমন এবং অন্যান্য ৩ চাকার বিভিন্ন ধরনের বাহনে ১১ হাজার ১০৪টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৭০৮ এবং নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৫১১ জন।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চালক ও সহযোগী না থাকায় সড়কপথে প্রাণহানি ঘটেই চলছে। রাজধানীসহ সারা দেশে তীব্র গণপরিবহন সংকট, অন্যদিকে ফিটনেসবিহীন-ত্রুটিপূর্ণ বাস-টেম্পোর অবাধ চলাচলের কারণেও যাচ্ছে প্রাণ। এমন পরিস্থিতির উত্তরণে সেভ দ্য রোড মাত্র ৭টি দাবি নিয়ে এগিয়ে চলছে। এসব দাবি যতোটা সম্ভব বাস্তবায়ন করা হলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেক কমে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।