gramerkagoj
সোমবার ● ২৪ মার্চ ২০২৫ ১০ চৈত্র ১৪৩১
gramerkagoj
সাজাপ্রাপ্ত আসামি নওয়াপাড়ার মোশারেফ হোসেন কারাগারে
প্রকাশ : সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪, ০৮:৫৪:০০ পিএম , আপডেট : রবিবার, ২৩ মার্চ , ২০২৫, ০৯:৫৬:০৮ এএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-02-12_65ca31381472b.jpg

প্রতারণা মামলায় চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোশারেফ হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এ আদেশ দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত মোশারেফ হোসেন নওয়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী শাহজান আলী মোল্যার ভাই ও নওয়াপাড়া বাজারের গুয়াখোলার শাহাজাহান মোল্যার গলির বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সাালে আসামি মোশারেফ হোসেন প্রেমবাগ মৌজার এক খতিয়ানের দুই দাগে ৪৬ শতক জমির মধ্যে ১৮ দশমিক ৮৫ শতক জমি বিক্রির ঘোষণা দেন। প্রেমবাগ গ্রামের সৈয়দ মোক্তার হোসেনের ছেলে মাস্টার সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান রানা এ জমি কেনার জন্য মোশারেফ হোসেনের সাথে কথাবার্তা বলেন। ওই বছরের ২৩ জুন মোশারেফ হোসেনের ১৮ দশমিক ৮৫ শতক জমি কেনার জন্য নগদ পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে বায়না রেজিস্ট্রি করেন রানা। ১১ সেপ্টেম্বর মোশারেফ হোসেন আরও নয় লাখ টাকা নেন এবং রানাকে আরও একটি বায়না রেজিস্ট্রি করে দেন। ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মোশারেফ হোসেন ১৮ দশমিক ৮৫ শতক জমির মধ্যে সাড়ে ১০ শতক জমি কবলা রেজিস্ট্রি করে দেন। বাকি জমি রেজিস্ট্রি করে দেবেন বলে আরও একটি বায়না রেজিস্ট্রি করে দেন মোশারেফ হোসেন। পরবর্তীতে মোশারেফ হোসেন বাকি জমি রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন।
২০১৮ সালের ১০ জুন মোশারেফ হোসেনকে ডেকে বাকি টাকা গ্রহণ করে জমি রেজিস্ট্রির অনুরোধ করেন মাস্টার রানা। পরবর্তীতে তিনি অস্বীকার করেন। এ সময় তাকে দেয়া টাকা ফেরত চাইলে তালবাহানা করেন। মাস্টার রানা বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে গত ২৫ জানুয়ারি আসামি মোশারেফ হোসেনকে চার বছর সশ্রম কারাদন্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ের আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত। এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।

 

আরও খবর

🔝