gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ কেশবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

নিজ দলের নেতাদের চ্যালেঞ্জের মুখে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪, ০৯:৫৩:০০ পিএম , আপডেট : সোমবার, ২৯ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:১৯:৩৬ পিএম
মোতাহার হোসাইন, কেশবপুর ব্যুরো:
GK_2024-02-20_65d4cb86c3013.jpg

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কেশবপুরের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের এবার দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্তে হিসাব-নিকাশ অনেকটাই পাল্টে গেছে। নিজ দলের নেতাদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
সব মিলিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে এখন কেশবপুরে রাজনীতির মাঠ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। আগামী ৪ মে ১ম ধাপে কেশবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেশবপুরে যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি এবার নির্বাচন করবেন না বলে গ্রামের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন। তবে উন্মুক্ত করে দেয়ায় এবারের প্রার্থীরা প্রতিপক্ষের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন বলে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা মনে করছেন।
সম্ভাব্য প্রার্থীরা নানা কৌশলে ইতোমধ্যেই তাদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি জানান দিচ্ছেন। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী না হলেও তার ছেলে কাজী মুজাহেদুল ইসলাম পান্না প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে। তবে নারী ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক চম্পা আর ভাইস থাকতে চাচ্ছেন না, পুরোপুরি চেয়ারম্যান হতে চান বলে গ্রামের কাগজকে জানান।
এ ছাড়াও ব্যানার, ফেস্টুন, গণসংযোগ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা, দপ্তর সম্পাদক মফিজুর রহমান, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি সৈয়দ নাহিদ হাসান, মঙ্গলকোট ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু, ভাইস চেয়ারম্যান পলাশ মল্লিক, যুবমহিলা লীগের নেত্রী রাবেয়া ইকবাল, সুমন সাহা রবিন, গাজী মনিরুল ইসলাম প্রমুখ তাদের প্রার্থিতার বিষয়টি জানান দিয়েছেন।
এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে সর্বত্র সবচেয়ে বেশী আলোচনা চলছে এডভোকেট বদরুজ্জামান মিন্টুকে নিয়ে। সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত তরিকুল ইসলামের ভাগ্নে বদরুজ্জামান মিন্টু একজন সজ্জন ও ক্লিন ইমেজের মানুষ বলে মনে করেন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ওই নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগ নেতা এইচ এম আমির হোসেন (মোটর সাইকেল) ৫৬ হাজার ৪৩৪ ভোট, জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুস সামাদ (দোয়াত কলম) ৩৫ হাজার ১৫২ ভোট ও বিএনপি নেতা বদরুজ্জামান মিন্টু (আনারস) ২৯ হাজার ২৮২ ভোট পেয়েছিলেন। যেহেতু এবারও জাতীয় নির্বাচনের মত প্রতীক নেই, সে কারণে বদরুজ্জামান মিন্টুকে এ নির্বাচনে প্রার্থী করার জন্য বিএনপি ও জামায়াতের বহু নেতা চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। ফলে আওয়ামী লীগ নেতাদের চ্যালেঞ্জ জানাতে এডভোকেট মিন্টুর পক্ষে গোপনে গোপনে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতের একাধিক নেতা। সে ক্ষেত্রে একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা প্রার্থী হলে তিনি সহজেই বিজয়ী হবেন বলে মনে করেন সচেতন মহল। সবমিলে কেশবপুর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এখন সরগরম সর্বত্র।

আরও খবর

🔝