শিরোনাম |
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় তিনটি বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরে ভান্ডারিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ১ ঘন্টা ৪০মিনিট পর আগুন নেভায়। এতে ৮ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বলতলা ছয়ঘর এলাকায় হাওলাদার বাড়ি এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ফরিদ হাওলাদার (৫০), মোঃ শাহজাহান হাওলাদার (৫০), মার্ডার মামলার আসামি বাবুল হাওলাদার (৪৫) এর পাশাপাশি তিন জনের তিনটা বসতঘর পুড়ে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাঁঠালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দীন সরকার।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ছয়ঘর এলাকায় খালের ওপারে মাহফিল চলে সেখানে আমি ওয়াজ শুনি হঠাৎ শুনতে পাই আগুন লাগছে। পরে দ্রুত দৌড়ে গিয়ে দেখি বাবুলের ঘর আগুনে জ্বলে লোকজন নিয়ে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই ফরিদ ও শাহজাহানের ঘরেও আগুন লেগে যায় পরে মাহফিলের লোকজন ডাক দিয়ে নিয়ে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি এর মধ্যে ফায়ারসার্ভিস এসে পৌছায় এরপরে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কি ভাবে আগুন লাগছে জানি না।
শৌলজালিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. কবির বলেন, ঘটনা শুনে আমি গ্রাম প্রতিরক্ষা পুলিশ (চৌকিদার) কে সঙ্গে নিয়ে ঘটনা স্থানে চলে যাই। এদিকে কাঁঠালিয়া ফায়ারসার্ভিস গাড়ি এসে রাস্তা না থাকায় বাড়িতে ঢুকতে পারছে না আটকা পড়ে আছে। পরে ভান্ডারিয়া ফায়ারসার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। বাবুলের ঘরে কেউ থাকে না। বাবুল মার্ডার মামলার আসামি তাই এলাকা ছাড়া। ঘরে লোক থাকে না ঘর খালি পরে ছিলো। তবে আগুন বাবুলের ঘরের পিছন থেকে লেগেছে। ফরিদের ঘরে অনেক মাল জিনিস ছিলো তার বউ ছেলে বিদেশে থাকে। বিদেশি অনেক মালপত্র ছিলো সব আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শাহজাহানের ঘর সব পুড়তে পারে নায় অর্ধেক পুড়ে গেছে। এরপর মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে।
শাহজাহান হাওলাদারের মেয়ে মোসাঃ শারমিন বেগম বলেন, বাবার ঘরে আগুন লাগছে শুনে স্বামীর বাড়ি থেকে এসেছি। ঘর সব পুড়তে পারে নায় তার আগেই আগুন পানি দিয়ে নেভাতে পারছে। তারপরও ঘরের অর্ধেক পুড়ে গেছে। ঘরের মধ্যে থাকা মাল জিনিস ঘর ভেঙে বাহিরে বের করছে। তাতে অনেক কিছু নষ্ট হইছে। প্রায় ২-৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বাবুলের ঘরে কেউ থাকে না তেমন কোন মাল জিনিস ছিলো না তবে ফরিদ কাকার সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। তার ছেলে কিছু দিন আগে বিদেশ থেকে আসছে। বিদেশে যাওয়ার পাসপোর্ট এছাড়া ঘরে অনেক ধান ও মালপত্র ছিলো সব পুড়ে ছাই হয়েগেছে। এখন ফরিদ কাকা ও তার ছেলে বেহুশ হয়ে পড়ে আছে।
ভান্ডারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের অফিসার আব্দুস সোবহান বলেন, খবর পেয়ে আমি সহ ফায়ার সার্ভিসের ৭জন কর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এক পর্যায়ে ১ ঘন্টা ৪০মিনিট পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। তাৎক্ষণিক আগুনের সূত্রপাত জানা যায়নি। আগুন লাগার কারণ তদন্ত করে জানার চেষ্টা চলছে। এতে ঘরের লোকজন অল্প আহত হয়েছে। তবে আনুমানিক ৫ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
কাঁঠালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দীন সরকার বলেন, ঘটনা শুনে আমি কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেছে। আগুনের সূত্রপাত জানা যায়নি তবে এতে প্রায় ৭-৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কি কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তদন্ত করে জানা যাবে।