শিরোনাম |
❒ দিনে গরম-রাতে শীত পড়ায়
যশোরের কেশবপুরে ঘরে ঘরে শিশুদের মধ্যে শুরু হয়েছে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ শ্বাসকষ্ট। দিনে গরম ও রাতে শীত-এমন বৈরি আবহাওয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ার কারণে শিশুসহ নানা বয়সী মানুষেরা এসব রোগে ভুগছেন। বিশেষ করে শিশুরা শ্বাসকষ্টে ভুগছে বেশি। হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে রোগীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিন বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায়, মায়েরা শিশুদের কোলে নিয়ে ডাক্তার দেখানোর জন্য বহির্বিভাগের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। উপজেলার আলতাপোল গ্রামের কানিজ ফাতেমা বলেন, তার দেড় বছর বয়সী শিশু ছেলে সামিউল ইসলামের জ্বর ও সর্দি-কাশি হয়েছে। হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর জন্য টিকিট কেটে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
একই লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মজিদপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান বলেন, তার সাত মাস বয়সী মেয়ে সাইমা রহমানের সর্দি, কাশি হওয়ায় হাসপাতালে ডাক্তার সমরেশ দত্তকে দেখাতে এসেছেন। তাদের মত শতাধিক অভিভাবক জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছেন হাসপাতালে। মধ্যকুল গ্রামের শিউলী বেগম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দিনে গরম ও রাতে শীত পড়ার কারণে তার ছেলে রিফাতের (৪) সর্দি-কাশি হয়েছে। স্থানীয় ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ এনে চিকিৎসা করানো হচ্ছে।
সুফলাকাটি ইউনিয়নের বেতীখোলা বাজারের পল্লী চিকিৎসক রেজাউল ইসলাম বলেন, তার চেম্বারে ৫ থেকে ৬ জন সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত শিশুকে আনা হলে তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের বকুলতলা বাজারের পল্লী চিকিৎসক নূরুল ইসলাম বলেন, গত ২ দিনে তিনি ২২ শিশুকে চিকিৎসা দিয়েছেন। রাতে শীত ও দিনে গরমের কারণেই বিভিন্ন রোগে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে।
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা সমরেশ দত্ত বুধবার বহির্বিভাগে শিশুদের চিকিৎসা দেখার সময় বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে শিশুরা একটু বেশি জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে।