gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ৪ নভেম্বর ২০২৫ ২০ কার্তিক ১৪৩২
gramerkagoj

❒ খাদ্য ও পানির জন্য হাহাকার

গাজায় ছয় শিশুর মৃত্যু
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪, ১১:৩০:০০ এএম , আপডেট : মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর , ২০২৫, ০৫:০১:২২ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
GK_2024-02-29_65e0161f32b75.jpg

উত্তর গাজায় খাদ্য ও পানির অভাবে হাহাকার। জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে উপত্যকা। ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংস হয়েছে গাজার চার ভাগের এক ভাগ কুয়া। বিশুদ্ধ পানির অভাবে ছড়াচ্ছে রোগবালাই। খাদ্য উৎপাদন নেই বললেই চলে। বিপর্যয়ের মুখে ১০ লাখ শিশু। হাসপাতাল ঘিরে বাড়ছে যুদ্ধ। জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে আল-আওয়াদা হাসপাতালেও বন্ধ কার্যক্রম। এই অবস্থায় কামাল আদওয়ান হাসপাতালে চার জন এবং আল শিফা হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কামাল আদওয়ান হাসপাতালে চার শিশুর মৃত্যু হয়। এরপর আল শিফা হাসপাতালে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে উত্তর গাজায় মানবিক বিপর্যয় এড়াতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করতে বলছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি নৈতিক ও মানবিক পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছে।’
প্রায় পাঁচমাস ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এ হামলার কারণে অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডটিতে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে কয়েক লাখ বাসিন্দা।
লাখো মানুষ উদ্বাস্তু, খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে। ইসরায়েলের বাধায় গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহের গতি আরও মন্থর হয়ে গেছে। ত্রাণ না পৌঁছানোয় ছোট ছোট শিশুরাও অনাহারে থাকছে।
জাতিসংঘের হিউম্যানেটারিয়ান এজেন্সি জানিয়েছে, মানবিক সংস্থাগুলো গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। তাছাড়া তারাও হামলার শিকার হচ্ছেন।
গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৯৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৭০ হাজারের বেশি।

আরও খবর

🔝