gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ১২ নভেম্বর ২০২৪ ২৮ কার্তিক ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
মতামত
নারী অধিকার সংরক্ষণ ও বাস্তবায়নে বেসরকারি সংস্থাসমূহের ভূমিকা ও গণমাধ্যমের কাছে প্রত্যাশা
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ , ২০২৪, ০৭:৫৮:০০ পিএম , আপডেট : রবিবার, ১০ নভেম্বর , ২০২৪, ০৩:৪৭:২৩ পিএম
সরোয়ার হোসেন:
GK_2024-03-07_65e9c8e4ae80f.jpg

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সারা বিশে^র মতো বাংলাদেশেও দিবসটি সাড়ম্বরে উদযাপন করা হয়। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে প্রেরণার উৎস হিসেবে প্রতিবছর দিবসটি সামনে আসে। কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনা, বেতন বৃদ্ধি এবং ভোটাধিকারের দাবিতে ১৯০৮ সালে আমেরিকার নিউইয়র্কের প্রায় দেড় হাজার নারী যে আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন তা এখন আর এই তিনটি দাবিতেই আটকে নেই। বর্তমান বিশ^ ব্যবস্থায় এই আন্দোলন এখন আরও সংঘটিত, আরও সুনির্দিষ্ট হয়েছে।
এক সময়ের ঘরবন্দি অবস্থা থেকে বের হয়ে এখন সমাজের সকল ক্ষেত্রে নারীর পদচারণা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি তার সামগ্রিক উন্নয়নের দাবিও জোরালো হয়েছে। মানুষ হিসেবে নারীর মর্যাদা, পরিবার ও সমাজে তার অবস্থা ও অবস্থানের উন্নয়ন, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ সকল ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের সমান সুযোগ দান, স্বাস্থ্য শিক্ষাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে নারী যত এগিয়েছে ততই পুরুষের সাথে তার বৈষম্যের বিষয়টি সামনে এসেছে। বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বেতন ও মজুরি বৈষম্য চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে বিদ্যমান সমাজব্যবস্থায় নারীর সার্বিক উন্নয়নের জন্যে এই জায়গাটিতে আরও নজর দেয়ার দরকার রয়েছে। অন্যান্য ক্ষেত্রেও নারীর প্রতি নির্যাতন বিশেষ করে পারিবারিক নির্যাতনের মাত্রা কিছুতেই কমানো যাচ্ছে না। অব্যাহত রয়েছে খুন, ধর্ষণ, যৌতুক, তালাক, বাল্যবিবাহ, পাচার, সন্ত্রাস ও এসিড নিক্ষেপ এবং সাইবার হয়রানীর মতো ঘটনা। এসব অপরাধের শিকার নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সঠিক বিচার পাচ্ছেন না। সে কারণেই এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ/এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি সবথেকে বেশি ভূমিকা পালন করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো। পারিবারিকভাবেও নারীর সামগ্রিক উন্নয়নে তার সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূর করে সঠিক বিচার পাওয়ার মাধ্যমে সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জন্যে সেরকারি সংস্থাসমূহের আরও কার্যকরী পদক্ষেপ প্রত্যাশা করে সচেতন মানুষ। সেক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে গণমাধ্যম বা সাংবাদিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে।

নারীদের যুদ্ধ অবিরাম
নারীরা অধিকার আদায়ের জন্যে যে সংগ্রাম করেছিলেন তার শত বছর পার হওয়ার পরও নারীদেরকে নানা প্রতিকূলতার সাথে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। লড়াই করতে হচ্ছে অধিকার আদায়ের জন্যে। একথা ঠিক যে, বিশে^র অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নারীরা নানাভাবে এগিয়েছে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় উন্নয়ন ঘটেছে। কমেছে প্রসূতিমৃত্যুর হার। ব্যবসায়, সরকারি ও বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে নারীর অন্তর্ভুক্তি চোখে পড়ার মতো। তৃণমূলে আরও নানাভাবে নারীরা আয়বর্ধক কাজের সাথে যুক্ত থেকে পরিবার ও সমাজকে এগিয়ে নিচ্ছে। তবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারী নানাভাবে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ে নারীরা চরম মজুরিবৈষম্যের শিকার। অথচ, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে নারীদের অবদান পুরুষের তুলনায় বেশি বৈ কম না।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৬-১৭ সালের শ্রমশক্তি জরিপে বলা হয়েছে দেশের ৬ কোটি ৩৫ লাখ শ্রমশক্তির মধ্যে নারী এক কোটি ৮৭ লাখ, যাদের বেশিরভাগই শ্রমিক। প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে তার অবস্থা পুরুষের তুলনায় খুব কম। কর্মজীবী নারীদের অর্ধেকের বেশি কৃষিকাজে সম্পৃক্ত। আরেকটি বড় অংশ পোশাক শিল্পে কাজ করে। মোট দেশজ উৎপাদনে এ খাতের অবদান ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ। মোট রপ্তানি আয়ের ৮৩ শতাংশ আসে এ খাত থেকে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ২০২০ সালের গবেষণায় বলা হয়েছে, মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) নারীর অবদান প্রায় ২০ শতাংশ। তবে সংসারের ভেতর ও বাইরের কাজের মূল্য ধরা হলে নারীর অবদান বেড়ে দাঁড়াবে ৪৮ শতাংশ।
অর্থাৎ, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারী-পুরুষের অবদান প্রায় সমান। কিন্তু, বৈষম্য প্রকট। বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামের (ডব্লিউইএফ) মতে লিঙ্গবৈষম্যে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৯তম। অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও সুযোগের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য ৫৬ শতাংশ। সেইসাথে মাতৃত্বকালীন ছুটির সুযোগ না দিয়ে উল্টো নারীকে কর্মক্ষেত্র থেকে বিতাড়িত করার প্রবণতাও নারীকে শ্রমবাজার থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তাবলয় কমূসূচির আওতায় রাষ্ট্রীয় সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও নারীরা অনেক পিছিয়ে। কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা), কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা), কর্মসৃজন ইত্যাদি প্রকল্পগুলোতে নারীরা পুরুষতের তুলনায় বেশি কাজ করে। কিন্তু, মজুরি পায় প্রায় অর্ধেক। এলজিইডির রাস্তা সংস্কার কাজের মজুরি নারীরা যা পায় তা কতোটা যৌক্তিক তার প্রশ্ন করারও উপায় নেই তাদের। করোনা মহামারির পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশে^ যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার খেসারত বেশি দিতে হচ্ছে নারীকেই। দারিদ্র্য, অপুষ্ঠি, খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা এবং লিঙ্গভিত্তিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তারা। দেশের অনেক নারী উদ্যোক্ত এই সময়ের মধ্যে ব্যবসায় গুটিয়ে দিয়ে চরম অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। এতে তার পারিবারিক এবং সামাজিক ঝুঁকিও সৃষ্টি হয়েছে।

রয়েছে মানসিকতার সমস্যাও
নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রধান অন্তরায় হলো নারীকে ‘মানুষ’ হিসেবে না ভেবে পৃথক একটা সত্তা ভাবা। পুরুষতান্ত্রিকতা থেকে উৎসারিত এই ধারণা এখনো সমাজে বিদ্যমান। নারীকে দেখা হয় দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে। এর প্রধান কারণ নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি না হওয়া। অর্থাৎ নারী সাবলম্বী না হওয়ার কারণেই পুরুষ তাকে নানাভাবে অবনত করে। পুঁজিবাদি সমাজের একটা বড় বৈশিষ্ট হলো পুঁজির মালিকই এখানে প্রধান ও ‘কর্তৃত্বের অধিকারী’। যেহেতু এখনো পুঁজি পুরুষের নিয়ন্ত্রণাধীনে সেহেতু পুরুষই এই সমাজের কর্তা আর নারী তার অধীনস্ত। সে কারণে মা, বোন, স্ত্রী, সন্তান-নারী যেই হোক না কেনো তাকে পিষ্ট করা, শাসন করা, দাবিয়ে রাখা, অবরুদ্ধ করে রাখা পুরুষের অধিকার হিসেবে প্রচলিত।

নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় সেরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহের ভূমিকা ও প্রতিবন্ধকতা
আমরা জানি সারা দেশেই বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহ নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছে। অসহায় ও দরিদ্র নারীদেরকে নানা আয়বর্ধক কাজের সাথে যুক্ত করে স্বাবলম্বী করা, সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও আইনি সহায়তা প্রদান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা নিয়ে কাজ করছে অনেক প্রতিষ্ঠান। গ্রামে গ্রাামে বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করে নারীদেরকে এসব কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। মানবাধিকার ও নির্যাতন প্রতিরোধে আইনের প্রাথমিক ধারণা নিয়ে কাজ করছে অনেক সংস্থা। তারপরও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় কেনো জানি কোথাও একটা খামতি রয়ে গেছে। নির্যাতনের শিকার নারী বিচারের দাবিতে আইনের কাছে যাওয়ার আগেই তাকে থামিয়ে দিচ্ছে নির্যাতক বা সমাজের প্রভাবশালীরা। কর্মক্ষেত্র থেকে যে অর্থ সে উপার্জন করছে তাও চলে যাচ্ছে পুরুষের হাতে। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তিও নারী নিজের মতো ভোগদখল করতে পারেনা। আবার সামাজিকভাবেও এসব কার্যক্রমে অংশ নেয়া নারীদেরকে সহজে মেনে নেয়া হয় না। বাইরে বের হলে এসব নিয়ে নানা কটূক্তির শিকার হতে হয়। নিজ পরিবার থেকেও তারা বাধার সম্মুখিন হয়। বিশেষ করে আয়বর্ধক কাজের জন্যে নেয়া ঋণের টাকা পরিবারের পুরুষ সদস্য হাতিয়ে নিয়ে নারীকেই বিপদের মুখে ফেলে দেয়। বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে ঋণ তুলতে পরিবারের পুরুষ সদস্য নারীকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাধ্যও করে। যার শিকার হয়ে অনেক নারীর জীবনে নেমে এসেছে করুণ থেকে করুণতম পরিস্থিতি। অন্যদিকে, নারীর উৎপাদিত পণ্য সঠিকভাবে বিপণনের অভাবেও তার উদ্যোগ অনেক সময় শুরুতেই হোঁচট খেয়ে তাকে আরও নিঃস্ব হতে বাধ্য করে।

গণমাধ্যমের ভূমিকা
নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে গণমাধ্যমসমূহ। তারা সমাজের নির্যাতিত-নিষ্পেষিত নারীদেরকে নিয়ে নানা প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচার করে। নারীদের চাহিদা ও সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিষয়গুলোকেও সমানভাবে তুলে ধরা হয় মিডিয়ায়। তাদের উদ্ভাবনীগুলোকেও সামনে এনে তার প্রসারে ব্যাপক সহায়তা করা হয়। নারী অধিকারের বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিবেদন ও মতামত প্রকাশ করে মিডিয়াগুলো। একইভাবে নারীর জন্যে নেয়া সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগসমূহ নিয়েও সংবাদ ও মতামত প্রকাশ ও প্রচার করা হয়। এক্ষেত্রে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহ মিডিয়ার সাথে সঠিকভাবে সমন্বয় গড়ে তুলতে পারলে কাজটি আরও সহজ হয়ে যায়। এমনিতেই মিডিয়ার দায়িত্ব রয়েছে খবরের উৎসসমূহের সন্ধান এবং সেখান থেকে তথ্য তুলে আনার। এই বোধের জায়গা থেকেই মিডিয়া নিজেই সরকারি- বেসরকারি সংস্থার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। সেই কাজ আরও সহজবোধ্য করতে সমানভাবে সেসরকারি সংস্থাগুলো যদি উদ্যোগী হয় তাহলে ফলাফল আরও ভালো পাওয়া সম্ভব। মুষ্টিমেয় কিছু সংস্থা নিজেদের মতো করে মিডিয়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত হলেও দেশের অধিকাংশ বেসরকারি সংস্থা উল্টো মিডিয়াকে এড়িয়েই কার্যক্রম পরিচালনা করতে যেনো স্বাচ্ছন্দবোধ করে। কিন্তু, দেখা যায় এই লুকোচুরি আদতে কোনো ভালো ফল নিয়ে আসে না। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে তারা কাজ করতে চায় পারিবারিক ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতার শিকার হলেও তারা তা আড়াল করার চেষ্টা করে। বরং হওয়া উচিৎ উল্টো। সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে নারীর অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হলে মিডিয়া অ্যাডভোকেসি কার্যকরী পদক্ষেপ হতে পারে। মিডিয়া জানে কোন বিষয়গুলো স্পর্শকাতর এবং সেগুলোকে কীভাবে উপস্থাপন করতে হয়। সে কারণে সমস্যাকে আড়াল করে নয়, সমস্যাকে সামনে এনে এর ভেতরকার কারণ ও প্রতিকারের উপায় নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করা জরুরি। এসব বিষয় নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে জনবান্ধন (নারীবান্ধব) প্রতিবেদন প্রকাশ করতে সংস্থাগুলোর উচিৎ মিডিয়ার সাথে সমন্বয় গড়ে তোলা। তেমনিভাবে মিডিয়ারও উচিৎ বিষয়ের গুরুত্ব বিবেচনায় এগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে এগিয়ে আসা। মিডিয়া বিষয়গুলোকে তুলে ধরলে অধিকার বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতার সৃষ্টি হবে। তখন নিজেরাই নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠবে। একইসাথে সেই অধিকারের যেসব রক্ষাকবচ রয়েছে যেমন আইন, সংবিধান, মানবাধিকার সনদ, নারী অধিকার সনদ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতিমালাগুলোর আলোকে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কর্তৃপক্ষও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে এগিয়ে আসবে।


আন্তর্জাতিক নারী দিবস নারীর শক্তি ও প্রেরণার যে দিকটি সামনে এনে দিয়েছে তার যথাযথ প্রয়োগ ও সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমেই নারী মুক্তির পথে এগিয়ে যেতে হবে। এজন্যে শুধু নারী একা না, নারী-পুরুষ মিলিত শক্তি হয়ে উঠতে হবে। নারীকে নিয়ে সকল কুপমন্ডুকতা দূর করে সমাজ ও সভ্যতা এগিয়ে নিয়ে তাকে সর্বজয়ারূপে গড়ে উঠতে সহায়ক হতে হবে। পুরুষতান্ত্রিকতা থেকে থেকে বের হতে হবে পুরুষ ও নারী-উভয়কেই। আন্তর্জাতিক নারী দিবস হচ্ছে সেই প্রেরণার উৎস।

লেখক: বার্তা সম্পাদক, দৈনিক গ্রামের কাগজ

(লেখাটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আর্টিকেল নাইনটিন এর সহযোগিতায় সাকমিড এবং গ্রামের কাগজের উদ্যোগে ৫ মার্চ ২০২৪ হোটেল হাসানে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে পঠিত)

 

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝