সোমবার ৫ জুন ২০২৩ ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
                
                
☗ হোম ➤ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল
৫১ বছর বয়সে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী
টিপু সুলতান, কালীগঞ্জ:
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০২৩, ১০:৪৫ পিএম |
অন্ধকার থেকে আলোয় আসতে চান ৫১ বছর বয়সী হাসিনা খাতুন। নিজে লেখাপড়া না জানলেও তার বিশ্বাস, যার ভিতরে শিক্ষার কোনো আলো নেই, সে অন্ধকারে আছে। তাই তিনি জীবনের পড়ন্ত বয়সেও শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে চান।
ছোটবেলায় স্কুলে যাওয়া হয়নি হাসিনা খাতুনের। পারিবারিক কারণে অল্প বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। সংসারের বেড়াজালে আটকে যায় জীবন। সেই থেকে সংসার ছেলেমেয়ে নিয়ে হাসিনার ব্যস্ততম জীবন। তার সংসারে স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তাদের বিয়ে দিয়েছেন। নিজে লেখাপড়া না জানলেও ছেলেকে বানিয়েছেন গ্রাজুয়েট। এ গল্প ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের আব্দুল কাশেমের স্ত্রী হাসিনা খাতুনের। 
হাসিনা বেগমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার ইচ্ছা ছিল লেখাপড়া করবেন। এই বয়সে চাকরি কিংবা অন্য কোনো কারণে তিনি লেখাপড়া করতে চান তা নয়। জ্ঞানার্জন করাই তার আকাংখা। কিন্তু সময়-সুযোগ আর হয়ে উঠছিল না হাসিনা খাতুনের। পাশের বাড়ির এক পুত্রবধূর কাছে পরামর্শ করে ভর্তি হয়ে যান প্রাইমারি স্কুলে। তার লেখাপড়া করার ইচ্ছা দেখে শিক্ষকরা ভর্তি করে নেন তাকে। হাসিনা খাতুন এখন ভাটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। ৫ম শ্রেণিতে মোট ৩৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে তার রোল ২৭। বাড়ির কাজ শেষ করে প্রতিদিনই স্কুলে যান হাসিনা খাতুন। লেখাপড়ায়ও খুব মনোযোগী তিনি। তার সঙ্গে পড়া সহপাঠীরাও খুব খুশি তাকে পেয়ে।
৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমা খাতুন জানান, সহপাঠীরা তাকে কেউ দাদি আবার কেউ চাচি বলে ডাকে। অবসর সময় তাদের মাঝে মাঝে বিভিন্ন গল্প শোনান। তাদেরও ভালো সময় কাটে। প্রতিদিন তাদের সঙ্গেই স্কুলে যান হাসিনা। আবার স্কুল ছুটি হলে একসঙ্গেই বাড়ি যান। 
শিক্ষক সীমা রানী ভট্টাচার্য বলেন, লেখাপড়ার প্রতি হাসিনা খাতুনের খুব আগ্রহ। তিনি নিয়মিত স্কুলে আসেন। লিখতে ও পড়তে পারার জন্য তিনি স্কুলে ভর্তি হয়েছেন। এখন তিনি সবই পারেন। স্কুলের শিক্ষকরা তাকে খুবই সহযোগিতা করেন।
প্রধান শিক্ষক মোমেনা বেগম বলেন, এই বয়সে স্কুলে ভর্তি হয়ে নিয়মিত ছাত্রী হওয়া সত্যিই বিরল। হাসিনা খাতুনের লেখাপড়ার প্রতি খুবই আগ্রহ। তার আগ্রহের ফলে তাকে ভর্তি নিয়েছি। সংসার সামলে নিয়মিত স্কুলে আসেন তিনি। শিক্ষকরা তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। যারা লিখতে ও পড়তে পারেন না তারা হাসিনা খাতুনের মতো এগিয়ে আসলে দেশ নিরক্ষরমুক্ত হবে।



গ্রামের কাগজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন


সর্বশেষ সংবাদ
খুসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন দুই নারী
বন্ধ পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র
দিনা কইরে ঘি খালি এইরামই হবে!
আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৯ জন
সড়কে দু’হাজার মেহগনি গাছ লাগিয়েছেন সাংবাদিক আব্দুর রহমান
দূষণের বড় কারণ পলিমার
তাপদাহে মরি মরি অবস্থা
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ, প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা
হোয়াটসঅ্যাপে এই মেসেজ এলে সাবধান, ক্লিক করলেই সর্বনাশ
৯০ টাকার বিক্রি এখন মাসে ৫০ হাজার টাকা
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের পথে
ভাড়া ফ্ল্যাটে জাল টাকা তৈরি করতেন তারা
বারবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে পাইলটিং স্মার্ট স্কুল ঘোষণা
আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে : রণজিৎ রায় এমপি
আমাদের পথচলা | কাগজ পরিবার | প্রতিনিধিদের তথ্য | অন-লাইন প্রতিনিধিদের তথ্য | স্মৃতির এ্যালবাম
সম্পাদক ও প্রকাশক : মবিনুল ইসলাম মবিন | সহযোগী সম্পাদক : আঞ্জুমানারা
পোস্ট অফিসপাড়া, যশোর, বাংলাদেশ।
ফোনঃ ০২৪৭৭৭৬২১৮০, ০২৪৭৭৭৬২১৮১, ০২৪৭৭৭৬২১৮৩ বিজ্ঞাপন : ০২৪৭৭৭৬২১৮৪, ই-মেইল : [email protected], [email protected]
কপিরাইট © গ্রামের কাগজ সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft