gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
মাংসের দাম ঊর্ধ্বমুখী
প্রকাশ : শুক্রবার, ৮ মার্চ , ২০২৪, ০৯:৪২:০০ পিএম , আপডেট : মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল , ২০২৪, ০৪:৫২:৪২ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-03-08_65eb326ac51d3.jpg

মাংসে স্বস্তি নেই যশোরের বাজারে। দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ডাল, সবজি, চিনি, চাল, ছোলা, বেসনসহ কোনো পণ্য স্বস্তি নেই। তবে কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম।
রমজান মাসকে সামনে রেখে যশোরে নিত্যপণ্যের বাজার তেঁতে উঠেছে। স্বস্তি নেই মাংসের বাজারে। রোজার মাত্র তিনদিন বাকি থাকতেই গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০টাকা কেজিতে পৌঁছেছে। চড়া মূল্য অব্যাহত রয়েছে খাসির মাংসেও। বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১০০ টাকা কেজিতে। বাড়তি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। এছাড়া, সোনালি মুরগি ৩০০, লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে দু’হাজার ৫০০ টাকায়।
অন্যদিকে, পহেলা মার্চ থেকে সয়াবিন তেলের নতুন দাম কার্যকরের ঘোষণা কিছু কিছু দোকানে মানা হচ্ছে। যেসব ব্যবসায়ী ও মুদি দোকানি নতুন সয়াবিন তেল তুলেছেন তারা নতুন দামে বিক্রি করছেন। তবে ১৬৩ করে বিক্রির কথা থাকলেও সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা কেজি ও লিটারে। এদিকে মুগের ডালের দাম অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয় ১৭০ টাকা কেজিতে। মাত্র তিনদিনের ব্যবধানেই দাম বেড়েছে। সরবরাহ সংকটের কথা বলছেন মুদি দোকানিরা। মসুর ডাল ১১০ থেকে ১৪৫টাকা। ছোলার ডাল ৯০ থেকে ১১০টাকা। বুটের ডাল ৭০ টাকা। চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। খোলা আটা ৪৫, প্যাকেট আটা ৫৫টাকা। খোলা ময়দা ৬৫ ও প্যাকেট ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজিতে। লবন ৪০টাকা। ছোলা ১১০ টাকা, বুটের ডালের বেসন ১০০টাকা ও ছোলার ডালের বেসন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজিতে।
চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আগাম আসা গ্রীষ্মকালীন সবজি। প্রতি কেজি সজনে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে। পটল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। ঢেঁড়স ১০০ টাকা। এঁচোড় ১০০ টাকা। কচুরলতি ৮০, মেটে আলু ৮০, উচ্ছে ৮০ থেকে ১০০, বরবটি ৭০ থেকে ৮০, লাউ ও পেঁপে ৪০, কাঁচকলা ৩০টাকা। বাধাকপি ২০ টাকা পিস। পেঁয়াজের কলি ও মুলা ৩০, গাজর ২০ থেকে ৩০ টাকা, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০, শিম ৪০ থেকে ৬০, টমেটো ৩০, মটরশুটি ৫০ থেকে ৬০, বিট কপি ৪০, ওলকপি ৩০, ব্রুকলি ৪০, কুশি ৪০ ৫০, মিষ্টি কুমড়া ৩০, বেগুন ৫০, শসা ৪০ থেকে ৫০, ক্যাপসিকাম ১০০, মিষ্টি আলু ৬০, মান কচু ৪০টাকা। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০টাকা কেজিতে। আলু ৩০টাকা।
তবে কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। রসুন ১৪০ থেকে ২৪০টাকা কেজি। আদা ২৬০ থেকে ৩২০টাকা। অন্য মশলায় চড়া দাম অব্যাহত রয়েছে। জিরা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। এলাচ এক হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকা কেজি। লবঙ্গ এক হাজার ৬০০ থেকে দু’হাজার ২০০ টাকা। দারুচিনি ৪৫০ থেকে ৫০০টাকা। গোলমরিচ ৭০০ থেকে এক হাজার ২০০টাকা কেজি।
চালের দামও বাড়তি। প্রতি কেজি স্বর্ণা (মোটা) চাল ৪৮ থেকে ৫২ টাকা কেজি। মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৬২, সুপার মিনিকেট ৬৪, কাজললতা ৫৪ থেকে ৬২টাকা। আঠাশ ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা, বাসমতি ৭২ থেকে ৭৬ ও নাজিরশাইল ৭২ থেকে ৮৮টাকা।
প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়। সোনালি মুরগির ডিম ৫৬টাকা। দেশি মুরগির ডিম ৬০ টাকা। হাঁসের ডিম ৭০টাকা। কোয়েল পাখির ডিম ১২ টাকা হালি। ১২টি ডিমের বক্স ১৩৫টাকা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আরও খবর

🔝