gramerkagoj
শুক্রবার ● ১০ মে ২০২৪ ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
কুষ্টিয়ায় বাড়ির উঠানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় সাংবাদিক বৃষ্টি
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১২ মার্চ , ২০২৪, ১১:৩৪:০০ এ এম , আপডেট : শুক্রবার, ১০ মে , ২০২৪, ১২:০৫:৩৫ এ এম
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
GK_2024-03-12_65efe9b54835b.jpg

ঢাকার বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহত সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) রাত ৮টা ২০ মিনিটে বৃষ্টির মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ায় পৌঁছায়। এ সময় তাকে একনজর দেখার জন্য শোকার্ত স্বজন ও গ্রামের মানুষের ঢল নামে। তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেস ঘিরে শোকার্তদের মাতম করতে দেখা যায়।
নিহত বৃষ্টির বড় চাচা মোবারক শেখের কবরের পাশে তার কবরের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছিল। মরদেহ পৌঁছানোর আগেই সমাজের লোকজন বাড়ি থেকে ১০০ গজ দূরে বাঁশ বাগানের ভেতরে কবর খোড়া থেকে দাফনের সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে রাখে। বিকেলে নিহতের গ্রামে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সন্ধ্যার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা, উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল আখতার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনুনর যায়েদ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর আব্দুল মজিদসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা নিহতের বাড়িতে উপস্থিত হন। রাত পৌনে ১০টার দিকে বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ার জামে মসজিদের মাইকে বৃষ্টির নামাজে জানাজার ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর নিজ বাড়ির আঙিনায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। কয়েকশ’ মানুষ এ জানাজায় শরিক হন। রবিউল ইসলাম নামে একজন নিকট আত্মীয় জানাজায় ইমামতি করেন। এরপর প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চাচা মোবারক শেখের কবরের পাশে বৃষ্টিকে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহত হন বৃষ্টি খাতুন। পরিচয় জটিলতার কারণে বৃষ্টি ও তার বাবা-মার ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর ১১ দিনের মাথায় আদালতের মাধ্যমে সোমবার বিকেলে নিহতের বাবা সবুজ শেখের কাছে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের মর্গ থেকে সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

আরও খবর

🔝