gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
চুয়াডাঙ্গায় বৃদ্ধ দম্পতি হত্যার দায়ে তিনজনের ফাঁসি
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:০১:০০ পিএম , আপডেট : রবিবার, ১ ডিসেম্বর , ২০২৪, ০১:০৬:৩২ পিএম
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
GK_2024-04-02_660bc4edeb683.jpg

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২০২২ সালে রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে ব্যবসায়ী নজির মিয়া ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে গলা কেটে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ১১টায় আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য়) আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আলমডাঙ্গার আসাননগর গ্রামের ক্লাবপাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে সাহাবুল হক (২৪), একই গ্রামের শেষ পাড়ার পিন্টু রহমানের ছেলে রাজিব হোসেন (২৫) ও মাঝের পাড়ার মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী (২৩)।
আর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শাকিল হোসেন (২৩) আসাননগর স্কুল পাড়ার তাহাজ উদ্দীনের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গা পৌর শহরের পুরোনো বাজার পাড়ার বাড়ি থেকে নজির মিয়া (৭০) ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগমের (৬০) হাত-পা-মুখ বাঁধা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর পরদিন ওই দম্পতির মেয়ে ডালিয়ারা পারভীন শিলা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর চারদিন পর হত্যাকারী সন্দেহে ওই চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি ওই চার আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিহাব উদ্দীন। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, বৃদ্ধ নজির আলী ছিলেন একজন বালু ব্যবসায়ী। আর আসামি সাহাবুল হক ছিলেন তার বালু পরিবহনের গাড়ির চালক। এ সুবাদে ওই দম্পতির বাড়িতে যাতায়াত ছিল সাহাবুলের। এ সুযোগে ওই বাড়িতে কোথায় টাকা পয়সা থাকত, তাও জানতেন তিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি অন্যদের সঙ্গে নিয়ে ওই দম্পতির বাড়িতে টাকা লুট করতে গেলে ফরিদা বেগম বাধা দেন। এতে বাধা দিলে তাকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে এবং পরে কুপিয়ে হত্যা করেন তারা। এসময় দেখে ফেলায় নজির মিয়াকেও হত্যা করেন আসামিরা। এরপর তাদের ঘরের নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যান তারা।
মামলায় মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মঙ্গলবার এ রায় দিলেন বিচারক।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর লুট করে নেওয়া মোবাইল ফোনের ক্রেতাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট।
মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান জানান, শুধুমাত্র জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করেই রায় ঘোষণা করা হয়। এ রায়ে বিবাদীরা সন্তুষ্ট নন। তাই উচ্চ আদালতে আপিল করার প্রস্তুতি চলছে।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝