শিরোনাম |
আমাগের চারপাশে পেত্তেকদিন কত কি ঘইটে চইলেচে। কেউ খিয়াল করি, কেউ খিয়াল করিনে। তেবে অনেকেরই কতা হচ্চে খিয়াল কইরেই বা লাভডা কি। কত্তার ইচ্চেয় কম্ম, কতি গেলিই শত্তুর হওয়া। তার চাইতে চুপ থাকাই ভালো, না কলি গুন, কলি খুন। এই কারনে দিনকে দিন সুমাজে গুনীর সুংখ্যা বাইড়ে যাচ্চে।
যে কতা কওয়ার জন্যি চিটিডা লিকতি বইচি, ওপরের কতাটুক পইড়ে তালগোল পাকায় যাতি পারে। কি করবো বাপু, মুক্কু সুক্কু মানুস শিব গড়তি বান্দর হওয়ায় স্বাভাবিক।
দেশে কোন দুযযোগ কিম্বা উসসব আসলি দেকা যায় জনপোতিনিধি ও নিতারা সাধারন মানসির মদ্দি দান ধ্যান করেন। ককনো সিডা সরকারের দিয়া অনুদান, ককনো তা সুমাজের বড় মানসির কাচেত্তে চাইয়ে আনা অনুদান কিম্বা নিজির গাটিত্তে দিয়া অনুদান। কিন্তুক হালি কইরে এট্টা জিনুস খিয়াল কইরে দেকলাম বেশীর ভাগ জাগায় যারা সগযোগিতা দেচ্চেন তাগের আগেত্তে চুতা করা কিচু লোকই ঘুইরে ফিরে এ সব সহযোগিতা পাচ্চেন। তারা পাওয়ার যোগ্য হোক চাই না হোক তবু তাগের বাইরি এ সব যাচ্চে না। যারা এ সব পাওয়ার হকদার তারা তফাতে কাইন্দে মল্লিও দেকার কেউ নেই। এই নিয়ে কতা হচ্চিল সেদিন। এক মুরুব্বী আমারে কলেন কোচ্চের বাইরি একন কিচু হচ্চে নারে আক্কেল। কোচ্চের লোক হতি না পাল্লি একন কারো চারাবাটি নেই।
কোচ্চের লোক কতি কি বুজোতি চাচ্চাও শুনতিই ধমক খালাম, তিনি কলেন বুজিসনে কোচ্চের লোক মানে কি, কাইড়ে ধরা লোক। আমার চোক শন্যি ভাব দেইকে মুরুব্বী আরো রাইগে যাইয়ে কলেন, তোরে কিচু বুজোনোর চাইতে হালের গরু হাটে যাইয়ে বেইচে থুয়াসা সহজ। কুটি কালে নজরুল ইসলামের সাহেব আর মুসাহেব কবিতা পড়িসনি। সাহেব কন চমেতকার, মুসাহেব কয় চমেতকার সে তো হতিই হবে হুজুরির মতে অমত কার। একনকের যুগ হচ্চে চাটা আর তেল মারার যুগ। যে যত চাটতি পারবে আর জাগা মত তেল মালিশ কত্তি পারবে তার জয়জয়কার। সব কিচু একন চাটুকরগের দকলে। সত্যি কতা কইলে তো মইল্লে। শুনিচি আমরিকায় আপেল হয়, সেই গাছের তলায় বইসে গবেষুণা কইরে নিউটনের নাম সুমাম হইয়েচে। আমাগের দেশে আপেল গাছ নেই আছে সষষে গাছ তাই তেলডা আমরা ভালো বুঝি, শুধু জাগা মতো তেলডা মারা আর মালিশটা দিতে পাল্লিই কিল্লা ফতে।
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা