শিরোনাম |
সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যর ৪টি সড়কের উন্নয়ন মূলক কাজের ফলকের ছবিতে কালি দিয়ে লেপন করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সরকারি সম্পদ নষ্টের অভিযোগে থানায় দু’জনের নাম উল্লেখসহ ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হয়েছে। পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
আটক হওয়া দুই যুবক হলেন উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের নুর আলীর ছেলে বেলালুর রহমান ও মাছনা গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে ইকবাল হোসেন।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানান, মণিরামপুর মোহনপুর টু নেহালপুর মেইন সড়ক থেকে সাতনল বাজার হতে ভরতপুর, ছিলামপুর বাজার হতে মাছনা, ছিলামপুর বাজার হতে ভরতপুর ও গোপালপুর বাজার হতে কালিগঞ্জ মোড় পর্যন্ত সড়কগুলো সাবেক এমপি স্বপন ভট্টাচার্য্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে নির্মাণ করা হয়। এ সব সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ করে জনস্বার্থে সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যর দুটি করে ছবি দিয়ে তোরণ নির্মান করে দেয়া হয়। ঈদের আগের দিন বুধবার গভীর রাতে একদল যুবক সাবেক প্রতিমন্ত্রীর সেই সব ছবিতে কালি দিয়ে লেপন করে দেয়। পুলিশ এ অভিযোগ পেয়ে বিয়ষটি নিয়ে তদন্তে নামে এবং বাজারে বসানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সনাক্ত করে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পুলিশ বেলালুর রহমান ও ইকবাল হোসেনকে আটক করে।
অপরদিকে, শুক্রবার দুপুরে আটক দুই যুবককে পুলিশের মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়লে তাদের স্বজনসহ বিক্ষুব্ধ মানুষ থানা-চত্বরে অবস্থান নেন। আটক দুই যুবকের পরিবারের দাবি, মিথ্যা অভিযোগে সন্দেহের বশে পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছে। থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) পলাশ কুমার বিশ্বাসের কক্ষে ঢুকিয়ে দরজা আটকে বেলালুরকে মারধর করা হয়েছে। এতে বেলালুরের বাম হাত ভেঙে গেছে। আটক বেলালুরের পিতা নুর আলী ও ছোট ভাই বোরহানুর রহমান বলেন, শুক্রবার দুপুরে শুনেছি বেলালুরকে মেরে পুলিশ হাত ভেঙে দিয়েছে। তাকে মণিরামপুর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ওর বাম পায়েও অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বেলালুর ঢাকায় লেখাপড় শেষ করে ৩/৪ বছর এলাকায় এসেছে। গত ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগলের পক্ষে কাজ করেছিলেন।
হাত ভাঙ্গার বিষয়ে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার অনুপ কুমার বসু বলেন, বেলালুরকে হাসপাতালে আনে পুলিশ। রোগীর বাম হাত ফোলা ছিল। আমরা হাতের এক্সরে করাতে বলেছি। প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে হাত ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য নিতে পরিদর্শক (তদন্ত) পলাশ কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি সার্বিক) এ বি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, হাত ভাঙ্গা ও মারধরের অভিযোগ সত্য নয়। আটক দুই যুবকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সরকারি সম্পদ নষ্টের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে।