gramerkagoj
বুধবার ● ১ মে ২০২৪ ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ জেলা প্রশাসন আয়োজিত সভায় আলোচকরা

জাতির পিতার সোনার বাংলা বিনির্মাণের সূতিকাগার ছিল মুজিব নগর সরকার
প্রকাশ : বুধবার, ১৭ এপ্রিল , ২০২৪, ০৮:১৫:০০ পিএম , আপডেট : সোমবার, ২৯ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:১৯:৩৬ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-04-17_661fda9b530fd.jpg

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষে যশোর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, জাতির পিতা যে অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন সে স্বপ্ন পূরণের সূতিকাগার ছিল মুজিব নগর সরকার। ঐতিহাসিক মুজিবনগরেই রচিত হয়েছিল স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের ভিত্তি। ওই সরকারের অধীনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রশাসন, প্রচারণা, কূটনীতি ও যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধকালে সারাদেশকে কয়েকটি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। মুজিবনগর সরকার প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্ব দিয়েছিল একেকজন সেক্টর কমান্ডারের হাতে। এই সরকারের সুযোগ্য নেতৃত্বেই ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। বিশ্বের বুকে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। তাই এই দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
বুধবার বেলা ১১টায় কালেক্টরেট সভাকক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান, যশোরে মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিববাহিনী প্রধান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন মনি, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, বীরমুক্তিযোদ্ধা অশোক কুমার রায়, এএইচএম মুযহারুল ইসলাম মন্টু, একেএম খয়রাত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন এবং আফজাল হোসেন দোদুল।
আলোচকরা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র রূপে বাংলাদেশের ঘোষণা করা হয়। ১১ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ দেশবাসীর উদ্দেশে বেতার ভাষণ দেন। তার ভাষণ আকাশবাণী থেকে একাধিকবার প্রচারিত হয়। ভাষণে তিনি দেশব্যাপী পরিচালিত প্রতিরোধযুদ্ধের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন।
এছাড়াও, ১৭ এপ্রিল মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণের তারিখ নির্ধারিত হয়। তাজউদ্দিনের ভাষণের মধ্য দিয়েই দেশ-বিদেশের মানুষ জানতে পারেন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম পরিচালনার লক্ষ্যে আইনানুগ সরকার গঠিত হয়েছে। এরই পথপরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল সকালে মুজিবনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেওয়ার মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

আরও খবর

🔝