gramerkagoj
শনিবার ● ৪ মে ২০২৪ ২০ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ যশোর জেলা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস

আবারো বালাম বই হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা,দিশেহারা ভুক্তভোগী গ্রহিতারা
প্রকাশ : সোমবার, ২২ এপ্রিল , ২০২৪, ০৮:৪০:০০ পিএম , আপডেট : শনিবার, ৪ মে , ২০২৪, ১২:২৩:১২ এ এম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-04-22_662677207edc4.jpg

যশোর জেলা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে বালাম বই হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বালাম বই হারিয়ে যাওয়া বা না পাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তারপরও কোন সুরাহা হচ্ছে না। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
সম্প্রতি ১৯৬৮ সালের ১১৯ নম্বর বালাম বই হারিয়ে গেছে বা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ও দলিল লেখক এবং জমির গ্রহিতাদের মাঝে হৈ চৈ শুরু হয়েছে। অনেকের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে, এভাবে কতদিন বা কত বছর চলবে বালাম বই হারানো এবং খুঁজে না পাওয়ার নাটক। অফিসের বড় কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না জমির দাতা-গ্রহিতারা।
গ্রামের কাগজের কাছে এসব তথ্য তুলে ধরে যশোরের শহরতলির বাহাদুরপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক আব্দুর রশিদ জানান, তার বাবা ছিলেন দলিল লেখক সমিতির সদস্য। পিতার নাম মৃত হোসেন আহমেদ। তার বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় বাহাদুরপুর গ্রামে স্বাধীনতার পূর্বে ৮ শতক জমি ক্রয় করেন। স্বাধীনতার পর তার বাবা মৃত্যুবরণ করলে স্থানীয় চার ব্যক্তি জোর করে সেই জমি দখল করে রেখেছেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা হলে দলিলের নকলের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে শিক্ষক আব্দুর রশিদ নকলের জন্য রেকর্ড কিপার ভৈরব চক্রবর্তীর কাছে আবেদন করেও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না। রেকর্ড কিপার তাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, উল্লেখিত বালাম বই হারিয়ে গেছে, পাওয়া যাচ্ছে না।
ভুক্তভোগী শিক্ষক আব্দুর রশিদ জেলা রেজিস্টার ও সাব রেজিস্টারের সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তাদের কাছ থেকেও কোন সদুত্তর পাননি তিনি।
আব্দুর রশিদ রেকর্ড কিপার ভৈরব চক্রবর্তীর দিকে আঙ্গুল তুলে গ্রামের কাগজকে বলেন, বালাম বই আটকে রেখে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য হারিয়ে যাওয়ার নাটক করছেন। বর্তমানে যশোর জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুমে বালাম বই না পাওয়া বা হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা এমন রুপ ধারণ করেছে যা ভুক্তভোগীরা কয়েক বছরে নাজেহাল হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে গত ২১ এপ্রিল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয় টা থেকে সন্ধ্যা সাত টা পর্যন্ত মোবাইল ফোনে জেলা রেজিস্টার, সাব রেজিস্টার ও রেকর্ড কিপার ভৈরব চক্রবর্তীর সাথে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। আব্দুর রশিদ হাশিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

আরও খবর

🔝