শিরোনাম |
গরমের উৎপাতে দিশাহারা অবস্থা। বিশেষ করে যাদের বাধ্য হয়ে প্রচণ্ড গরমে খোলা মাঠে চলাফেরা বা কায়িক পরিশ্রম করতে হয়। গরম একা আসে না, সঙ্গে নিয়ে আসে এমন কিছু সমস্যা যা বাস্তবিকই ভয়ের বিষয়। গরমের অনেক বিপদের মাঝে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থার নাম ‘হিটস্ট্রোক’।
তীব্র গরমে দীর্ঘ সময় বাইরে কাজ করলে অনেক ধরনের অসুখ-বিসুখ হতে পারে। তাপমাত্রা বেড়ে গেলে শরীর চেষ্টা করে দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে। প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়, তাকে বলা হয় হিট স্ট্রোক। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে পরিণতি হতে পারে মারাত্মক।
হিটস্ট্রোক কেন হয় আর এ অবস্থায় আমরা কী করতে পারি তা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রহমত উল্লাহ।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলো হচ্ছে-
• শরীর প্রচণ্ড ঘামতে শুরু করে আবার হঠাৎ করে ঘাম বন্ধ হয়ে যায়
• নিঃশ্বাস দ্রুত হয়
• নাড়ির অস্বাভাবিক স্পন্দন হওয়া অর্থাৎ হঠাৎ ক্ষীণ ও দ্রুত হয়
• রক্তচাপ কমে যায়
• প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়
• হাত পা কাঁপা, শরীরে খিঁচুনি হয়
• মাথা ঝিমঝিম করা
• তীব্র মাথাব্যথা
• ব্যবহারে অস্বাভাবিকতার প্রকাশ
• কথা-বার্তায় অসংলগ্ন হওয়া।
স্ট্রোক হলে বা লক্ষণ দেখা দিলে
• হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলেই প্রথমে শরীরের তাপ কমানোর জন্য ঠাণ্ডা বরফ পানি দিয়ে শরীর মুছে দিন
• আক্রান্ত ব্যক্তিকে শীতল পরিবেশে নিয়ে আসুন
• শরীরের কাপড় যথাসম্ভব খুলে নিন
• প্রচুর ঠাণ্ডা পানি, ফলের শরবত অথবা স্যালাইন পান করতে দিন
• হিট স্ট্রোক হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে যত তারাতারি সম্ভব স্থানীয় হাসপাতালে নিতে হবে।
যেকোনো বয়সের মানুষের হিট স্ট্রোক হতে পারে। তবে, শিশু ও বৃদ্ধদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
যাদের শরীর খুব দুর্বল তারাও হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন।
এই গরমে সুস্থ থাকতে নিয়মিত দিনে দুইবার গোসল করুন। খাবারে প্রচুর শাক-সবজি আর ফল রাখুন।
হিট স্ট্রোকে অনেক সময় বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এমন কী মৃত্যুও হতে পারে। তাই আমাদের গরমের এই সময়টায় সাবধানে থাকতে হবে। বেশি বেশি তরল খাবার খেতে হবে। রোদে বাইরে গেলে ছাতা ব্যবহার করুন।
ঠাণ্ডা খেতে হবে। কিন্তু রাস্তার পাশের খোলা কাটা ফল, শরবত খাওয়া ঠিক নয়, কারণ এতে ডায়রিয়া হওয়ার ঝুঁকি থাকে।