gramerkagoj
রবিবার ● ১৯ মে ২০২৪ ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
gramerkagoj
শিরোনাম
শিরোনাম ইসরায়েলগামী অস্ত্রের জাহাজকে বন্দরে জায়গা দিল না স্পেন যশোর পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নে সভাপতি বাচ্চু, সম্পাদক মোর্ত্তজা যুবমহিলালীগ থেকে ফাতেমা আনোয়ার বহিস্কৃত মাগুরা রেলপথ যাবে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ -রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম এমপি মণিরামপুরে এমপি ইয়াকুব আলীর সংবর্ধনা শান্তির জনপদে অশান্তির অপচেষ্টা চালালে প্রতিহত করতে হবে বিপুল ফারাজীকে বিজয়ী করতে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সভা কেশবপুরে নবনির্বাজিচত চেয়ারম্যান-ওসির বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন চেয়ারম্যান পদে মোস্তানিছুর-হাবিব সমানে সমান ঝিনাইদহে এসএসসি পরীক্ষার আগেই ২১৩ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার ঝিনাইদহে আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০, আটক ৫
গাজার অর্ধেক মানুষ অনাহারে থাকছেন : ডব্লিউএফপি
প্রকাশ : বুধবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৪, ০২:২৮:০০ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
GK_2024-04-24_6628bfcf07240.jpg

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নৃশংস হামলা চালিয়েই যাচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। প্রায় ৭ মাস ধরে চলা এই নৃশংস হামলার ফলে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে। দেখা দিয়েছে খাবারের তীব্র সংকট। ফলে গাজা উপত্যকার অর্ধেক ফিলিস্তিনিই অনাহারে থাকছেন বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
এমনকি গাজায় বর্তমানে যে পরিমাণ সাহায্য ঢুকছে তা প্রয়োজনের খুবই অল্প বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার জনসংখ্যার - আনুমানিক ২৩ লাখ মানুষ - অর্ধেক অনাহারে রয়েছে রয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে।
আল জাজিরা বলছে, ডব্লিউএফপি প্রতি মাসে গাজায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে। সংস্থাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, তারা খাদ্য সহায়তা প্রদান করলেও বাস্তবিকভাবে সহায়তার প্রয়োজন এতোটাই তীব্র যে তাদের এই ধরনের প্রচেষ্টা ‘প্রয়োজনের তুলনায় সাগরে কেবল একটি ফোঁটার মতো।’
গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘের এই খাদ্য ত্রাণ সংস্থাটি।
এর আগে গাজার ফিলিস্তিনিরা ‘দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে’ রয়েছে বলে গত মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)।
জাতিসংঘের এই সংস্থাটি সেসময় জানায়, গাজার মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে। এই পরিস্থিতিতে গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তা বিতরণ করাই হচ্ছে ‘সবচেয়ে কার্যকর এবং নিরাপদ উপায়। গাজা উপত্যকায় সহায়তার নিরাপদ, নিরবচ্ছিন্ন এবং টেকসই প্রবেশাধিকার এখন জীবন ও মৃত্যুর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।
ইসরায়েল গাজার ওপর ব্যাপকভাবে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। এর ফলে এই ভূখণ্ডের জনগোষ্ঠী বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা অনাহারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন।
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ১৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৬ হাজারের বেশি মানুষ।

আরও খবর

🔝