শিরোনাম |
এক প্রান্ত আগলে রেখে এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরিতে আবাহনী লিমিটেডকে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন করে মাঠ ছাড়েন। দুই ম্যাচ আগেই শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে আবাহনীর। বাকি ছিল অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনুষ্ঠানিকতা। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে হারিয়ে চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিডিসিএল) অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আনুষ্ঠানিকতা সারলো আবাহনী।
জয় নিশ্চিতের পরও বিজয়দের বিজয়োল্লাস ছিল না বললেই চলে। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সবচেয়ে মর্যাদার টুর্নামেন্টে আকাশী-নীল জার্সিদের এটি ২৩তম শিরোপা।
সোমবার হোম অব ক্রিকেটে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে আট উইকেটে ২৩৪ রান করে শাইনপুকুর। তাড়ায় নেমে ৪৬ ওভার এক বলে চার উইকেটের জয় পায় আবাহনী।। বিজয় ১১০ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১২০ এ ব্যাটার সাতটি চার ও চারটিটি ছক্কায়। সেঞ্চুরির দেখা পান ১১৪ বলে। তার সঙ্গে জারিফ রহমান অপরাজিত ছিলেন ১১ রানে।
শুরুতে পরপর দুই বলে আবাহনী দুই ওপেনারকে হারায়। সপ্তম ওভারের শেষ বলে সাত রানে থাকা নাঈম শেখকে ফেরান মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে মোহাম্মদ ইলিয়াসের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাব্বির হোসেন ১৪ রানে।
তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে এনামুল হক বিজয় প্রতিরোধ গড়েন মাজহারুল ইসলাম সাগরকে নিয়ে। ২৩ রানে সাগরের আউটে ভাঙে ৬৫ রানের জুটি। এক প্রান্তে আগলে বিজয়ের সঙ্গী হন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। দু’জনে এগোচ্ছিলেন ভালোভাবে। ২৯ রানে মোসাদ্দেকের বিদায়ে ভাঙে ফিফটির জুটি।
বিজয়ের সঙ্গী এবার নাহিদুল ইসলাম। ২১ রানে নাহিদুলের আউটে এই জুটিও লম্বা হয়নি। এরপর ক্রিজে এসে ফেরেন রাকিবুল হাসান এক রান করে। শেষে জারিফ রহমান দারুণ সঙ্গ দেন বিজয়কে। আবাহনীকে আর উইকেট হারাতে হয়নি। জারিফকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন বিজয়।
এর আগে অমিত হাসান-খালিদ হাসানের হাফ সেঞ্চুরির ভর করে ২৩৫ রানের লক্ষ্য দেয় শাইনপুকুর। অধিনায়ক অমিত সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন। ১১৬ বলে পাঁচটি চারে ইনিংসটি সাজিয়েছেন অমিত। ৫৮ বলে ৫৮ রান করেন খালিদ। তার ইনিংসে চার ছিল আটটি আর ছয়ের একটি।
এ ছাড়া ইরফান শুক্কুর ৩৩ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। ৪৯ বলে তিনি এই রান করেন। আর কোনো ব্যাটার বিশের বেশি রান করতে পারেননি। শেষ দিকে ১৪ রান করেন আনামুল হক।
আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন রাকিবুল হাসান।